করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ২১ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ সাত জন আর নারী ১৪ জন। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৬০৫ জন আর নারী মারা গেলেন নয় হাজার ৮০৯ জন।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৪ জন। তাদের মধ্যে ১৪ জনই ছিলেন নারী। তার আগের দিনও ২২ সেপ্টেম্বর) পুরুষের তুলনায় নারীমৃত্যু বেশি ছিল। ২২ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে নারী ছিলেন ১৯ জন আর পুরুষ ১৭ জন।
গত ১২ আগস্টে দেশে করোনা মহামারিকালে প্রথম পুরুষমৃত্যুকে ছাড়িয়ে যায় নারীমৃত্যু। সেদিনই প্রথম বারের মতো একদিনে মৃত্যুর তালিকাতে পুরুষের চেয়ে নারীমৃত্যু বেশি ছিল। সেদিন অধিদফতর জানায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৭ জন আর নারী ১০৮ জন।
এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২৬ জনের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন নারী আর ১১ জন পুরুষ। তার আগের দিন (১৯ সেপ্টেম্বর) বাদ দিয়ে পরপর দুইদিন ১৮ ও ১৭ সেপ্টেম্বরেও নারীমৃত্যু বেশি ছিল। ১৮ সেপ্টেম্বরে মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ১৬ জন আর নারী ১৯ জন। তার আগের দিনে ১৭ সেপ্টেম্বরে মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ১৩ জন আর নারী ২৫ জন।
করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে পুরুষের আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুহার বেশি ছিল। নারীর তুলনায় পুরুষ বাইরে যান বেশি, যার কারণে তারা আক্রান্ত হন বেশি। আর আক্রান্ত হলে মৃত্যুও বেশি হবে বলে জানিয়ে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। যার কারণে নারীদের আক্রান্ত এবং তাদের মৃত্যুহার কম ছিল। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে নারী মৃত্যু বেড়ে যায়।
নারী মৃত্যুর জন্য বিশেষজ্ঞরা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের কথা বলেছেন। সেইসঙ্গে টিকা গ্রহণে নারীর পিছিয়ে থাকাতেও কারণ হিসেবে বলছেন তারা। জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি নাইট্যাগ (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ মনে করেন, টিকা গ্রহণে পিছিয়ে থাকার কারণে নারী মৃত্যু বাড়ছে।