সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে টিকা গ্রহীতাদের ভিড় দেখা গেছে। লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলছে কাঙ্খিত টিকা। এসএমএস ছাড়া কেন্দ্রে গিয়ে প্রতীক্ষার পর টিকা না নিয়েই ফিরতে হচ্ছে অনেককে।
এর আগে বৃহস্পতিবারের পর থেকে মডার্নার টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ রেখে এ টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু করতে নির্দেশনা দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ১২ই জুলাই দেশে সিনোফার্মের টিকা দেয়া শুরু হয়। এরপর কোভ্যাক্সের আওতায় আসা মডার্নার টিকা দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় দেয়া শুরু হয় ১৪ই জুলাই থেকে। চাহিদা মতো সারা দেশে মডার্না ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে মডার্নার কোভিড টিকা এসেছ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। এ পর্যন্ত এই টিকা পাওয়া গেছে ৫৫ লাখ ডোজ। টিকাদান কর্মসূচি এখন মডার্না ও সিনোফার্মের উপর নির্ভর করেই চলছে। তবে প্রথম ডোজে মডার্নার টিকা এখন আর দেয়া হবে না।
সরকারের হাতে এখন সিনোফার্মের টিকাই সবচেয়ে বেশি রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজের সঙ্গে এই টিকার প্রথম ডোজও চলবে। সিনোফার্মের সাড়ে ৭ কোটি ডোজ কেনার চুক্তি করেছে সরকার। তার মধ্যে ১ লাখ ১৫ হাজার ডোজ টিকা ইতোমধ্যে সরকার হাতে পেয়েছে।
এর মধ্যে চীন থেকে কেনা ৭০ লাখ টিকা দেশে এসেছে আগেই। এছাড়া চীন থেকে উপহার এসেছে আরও ১১ লাখ ডোজ। আর শেষ দুই দফায় ৩৪ লাখ টিকা এসেছে কোভ্যাক্সের আওতায়।
কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকাও বাংলাদেশে এসেছে।
আর যে কোভিশিল্ড দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে টিকাদান শুরু হয়, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ২ চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকাই কেবল এসেছিল। তার সঙ্গে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাওয়া গিয়েছিল আরও ৩২ লাখ ডোজ।
তখন প্রথম ডোজ নেয়ার পর যারা আটকে গিয়েছিলেন, তাদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। জাপান থেকে এই টিকার ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ডোজ এসেছে বাংলাদেশ।