যুব জাগপার কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মীর আমির হোসেন আমু বলেন বর্তমান বাংলাদেশের জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর যে ধরনের চিকিৎসাসেবা পাওয়ার প্রয়োজন তা তারা সঠিকভাবে পাচ্ছেনা।বর্তমানে বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবায় আইসিইউ যে একটি গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিভাগ, করোনা মহামারি সেটি আমাদের সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে আইসিইউর ব্যাপক হাহাকার দেখা যাচ্ছে।বাংলাদেশের ৩৭ টি জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসিইউ তো দূরের কথা, হাইফ্লো অক্সিজেন সরবরাহেরও কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন আইসিইউর অভাবে সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগী মারা যাচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে একজন রোগীর আইসিইউর প্রয়োজন হলে তাকে পাঠানো হচ্ছে জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতাল কিংবা রাজধানীতে। এতে রোগী সঙ্গে সঙ্গে আইসিইউ সাপোর্ট পাচ্ছে না। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের অনেক রোগী আইসিইউ সাপোর্ট পাওয়ার জন্য জেলা অথবা বিভাগীয় হাসপাতাল কিংবা রাজধানীর হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই অনেক রোগী পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।
তিনি বলেন করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর অনেক দেশ আইসিইউ সক্ষমতা বাড়াতে পারলেও এক বছরেরও বেশি সময় পেলেও আমাদের দেশে বাড়েনি আইসিইউ সক্ষমতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতবছর নির্দেশনা দিয়েছিলেন দেশে সব জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ চালুর করার জন্য তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি বাংলাদেশে। একই সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাইফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও জেলার সদর হাসপাতালে কেন আইসিইউ স্থাপন করা হয়নি, তার কোনো সদুত্তর দিতে পারছেনা আমাদের ভঙ্গুর স্বাস্থ্য বিভাগ।
আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষেরা তারা সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের কোথাও আইসিইউ মিলছে না। আইসিইউয়ের জন্য সিরিয়াল দিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।তাই আইসিইউর জন্য রীতিমতো হাহাকার চলছে। সামনে যদি করোনার তৃতীয় ঢেউ আসে, তাহলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। আইসিইউর অভাবে যেখানে-সেখানে রোগীর লাশ পড়ে থাকবে।
কিন্তু আইসিইউয়ের রোগীকে সময়মতো আইসিইউতে না রাখতে পারলে মৃত্যু অবধারিত। তাই সময় থাকতে দেশের জেলাগুলোতে দ্রুত আইসিইউ এবং হাইফ্লো অক্সিজেন সরবরাহেরও সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে হবে।