এ সময় সমুদ্র থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে আসে ডিম দিতে। বাজারে পাওয়া যায় প্রচুর ইলিশ। এ সময় ইলিশের দামও থাকে হাতের নাগালে। ধোঁয়া উঠা খিচুড়ির সাথে গরম গরম ইলিশ ভাজা না হলে বাঙালির বর্ষাকালটা ঠিক জমে না। শুধু কী ইলিশ ভাজা? ভাপা ইলিশ, সর্ষে ইলিশ, দই ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ পাতুরি থেকে শুরু করে বেগুন,আলু দিয়ে ইলিশের ঝোল কিংবা উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত জ্বাল দেওয়া ইলিশ- সবই ঠাঁই পায় ভোজনরসিক বাঙালির পাতে।
তবে সমুদ্রের হিমায়িত ইলিশ আর নদী থেকে পাওয়া টাটকা ইলিশ চেনার কিছু উপায় আছে। জেনে নিন কিভাবে চিনবেন টাটকা ইলিশ।
রং হবে রূপালি: নদীর টাটকা ইলিশ বিশেষ করে পদ্মা আর মেঘনার ইলিশের রং উজ্জ্বল রূপালি। অন্যদিকে হিমায়িত সমুদ্রের ইলিশের রং অনুজ্জ্বল, ফ্যাকাশে ধরনের।
মাছ হবে গোলাকৃতির: পদ্মা-মেঘনায় যেসব ইলিশ পাওয়া যায় তা হয় অনেকটা গোলাকার। অর্থাৎ মাছের পেটের অংশ হয় মোটা আর চওড়া।কিন্তু সমুদ্রের ইলিশের পেটের দিকটা সরু হয়।
চোখ হবে স্বচ্ছ: টাটকা ইলিশের চোখ স্বচ্ছ আর উজ্জ্বল হয়। হিমঘরে রাখা ইলিশের চোখ ভেতরের দিকে ঢুকে থাকে। আর ঘোলাটে হয়।
ইলিশ হবে শক্ত: টাটকা ইলিশ শক্ত থাকে। অনেক সময় বাজারে দেখা যায়, ইলিশ মাছ বাঁকা হয়ে আছে। এটাই হলো সদ্য ধরা ইলিশের সবচেয়ে বড় লক্ষণ।টাটকা ইলিশ হাত দিয়ে উঁচু করে ধরলেও আকারের পরিবর্তন হবে না। অন্যদিকে হিমায়িত বাসি ইলিশ নরম হয়ে যাবে। হাতে দিয়ে পেটের কাছে ধরলেই মাথা ও লেজা নিচের দিকে হেলে পড়বে।
কানকো হবে টকটকে লাল রংয়ের: ইলিশ কেনার আগে অবশ্যই মাছের কানকো ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত। টাটকা ইলিশের কানকো হয় টকটকে লাল রঙের।