সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসে উপজেলার কৈইলাইল ইউনিয়নের মাতাবপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজে যোগ দেন সাতজন শ্রমিক। সেখানে তারা মোট ৬৩ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের জ্বর, ঠান্ডা ও কাঁশিসহ করোনাভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। পরে ২৬ তারিখে সকালে মেডিকেল টিম গঠন করে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশ কয়েকজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় দশজনের শরীরে করোনার পজেটিভ আসে।
শনিবার (৫ জুন) নবাবগঞ্জে ১০ জনের শরীরে ডেল্টা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর আইডিইসিআরে তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আক্রান্তদের ঢাকার বক্ষব্যাধী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এখনো তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর তাদের শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
এদিকে, গোপালগঞ্জ সদরের বোলতলী ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রামের সাতজনের ভারতীয় ধরণ ডেল্টা শনাক্ত হয়। গত ২৬ মে, তেলিভিটা গ্রামের ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইসিডিডিআর’বি তে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সাতজনের ডেল্টা শনাক্ত হলো।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগে থেকেই সদরের বোলতলী, শাখপাড়, শাহাপুর ইউনিয়নে লকডাউন চলছে। তবে এ ঘটনার পর তেলিভিটা গ্রামে লকডাউন অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হবে।