গেলো বছরের মতো এবারও করোনার কারণে বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে শঙ্কিত চাষি ও ব্যবসায়ীরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন বলছে, স্থানীয় বাজারসহ দেশের নানা প্রান্তে আম সরবরাহ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাগান গুলোতে হাড়িভাঙ্গা আমের পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগানিরা। লাভজনক হওয়ায় গেল এক দশকে জেলার মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ ও রংপুর সদর উপজেলায় বেড়েছে এই আমের চাষ।
আটি ছোট, আশমুক্ত এবং সুস্বাদু হওয়ায় এরই মধ্যে সারা দেশেই মানুষের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হয়েছে হাড়িভাঙ্গা। এ বছর আবহাওয়া তেমন একটা অনূকুলে না থাকলেও ফলন খুব একটা খারাপ হয়নি। তবে করোনা সংক্রমনের কারনে কিছুটা শংকিত বাগানিরা।
আমচাষীরা বলেন, ‘এ পর্যন্ত কোন পার্টির সাথে কথা হয়নি আর যাদের সাথে হয়েছে তারাও এসময়ে করোনার কারনে আসতে পারছে না। গতবার ও করোনার কারনে ব্যবহা করে তেমন কোন লাভ পাইনি। আল্লাহপাক যে কি করবে দেখা যাক আর কটা দিন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, আমাদের এখানে এবার ক্ষরা ছিল তার পরেও আমের ফলন মোটামুটি ভালে হয়েছে। আমের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে আমচাষীদের।
রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘দেশের নানা প্রান্তে আম সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতদুর সম্ভব সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।’
এ বছর জেলায় ১ হাজার ৮শ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে হাড়িভাঙ্গা। এছাড়াও অন্যান্য জাতের আম চাষ হয়েছে ৩ হাজার ২শ ৮০ হেক্টর।