স্বজনদের নিতে চুয়াডাঙ্গায় আসেন তাদের আত্মীয়রা। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর ঘরে ফিরছেন ১১ জন। রবিবার, ৩০ মে শেষ হয় তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন। গত ১৭ মে ভারতে আটকা পড়া এসব বাংলাদেশী দেশে প্রবেশ করেন।
ভারত ফেরত এসব যাত্রীদের চুয়াডাঙ্গার সরকারী টিটিসি, যুব উন্নয়ন কেন্দ্র, নার্সি ইনষ্টিটিউট ও ৩টি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম মারুফ হাসান জানান, ১৪ দিন বিভিন্ন হোটেল ও সরকারী প্রতিষ্ঠানে থাকা ৭ শতাধিক ভারত ফেরত বাংলাদেশীরা পালাক্রমে ঘরে ফিরবেন। সোমবার সকালে ঘরে ফেরা এসব যাত্রীদের ফুল দিয়ে বিদায় জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, আনসার ও ভিডিপি’র জেলা কমাÐ্যান্ট আলমঙ্গীর হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, মহামারি করোনার কারণে গত বছর থেকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর গত ১৭ মে থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে দর্শনা জয়নগর সীমান্ত হয়ে ফেরা বাংলাদেশিদের জন্য সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা হয়।
ভারত ফেরত যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলায় স্থানান্তর করা হয় অনেককে। এদের প্রত্যেককে নিজ খরচে হোটেলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। যদিও জেলা প্রশাসন সরকারী প্রতিষ্ঠানে যাদেরকে রেখেছিল তাদেরকে ভাড়া মওকুফ করা হয়েছে।
এছাড়া ভারত ফেরত করোনা পজেটিভ যাত্রীদের চুয়াডাঙ্গা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে যাদের কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে এবং করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে তারা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট, কোয়ারেন্টাইন প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন।