রূপগঞ্জে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে পাষণ্ড স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন আন্নি আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর মুখে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও যৌতুকলোভী স্বামীসহ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি পুলিশ। মামলা না নেওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ। এর আগে গত ১৩ মে উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ আন্নি আক্তার উপজেলার কুলিয়াাদি এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
গৃহবধূ আন্নি আক্তার অভিযোগ করে জানান, গত ৩ বছর আগে উপজেলা শিমুলিয়া এলাকার মৃত নজরুল মোল্লার ছেলে মিদুল মোল্লার সঙ্গে আন্নি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারেন মিদুল মোল্লা মাদক সেবন করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে ৯ মাসের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। প্রতিবেশী জাহিদুল ইসলাম শিমনের কু-প্ররোচনায় স্বামী মিদুল মোল্লাসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন গৃহবধূর ওপর নির্যাতন চালাত।
বিয়ের পর নানা টালবাহানায় আন্নি আক্তার বাবার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা এনে দেন স্বামী মিদুল মোল্লান কাছে। গত বেশ কয়েকদিন ধরে মিদুল মোল্লা গৃহবধূ আন্নি আক্তারকে তার বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য ফের চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। এ সকল বিষয় নিয়ে আন্নি আক্তারের ওপর মিদুল মোল্লা নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
গত ১৩ মে দুপুরে মিদুল মোল্লাসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন আন্নি আক্তারকে তার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। গৃহবধূ আন্নি আক্তার টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় স্বামী মিদুল মোল্লাসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে রান্না ঘর থেকে গরম পানি এনে আন্নি আক্তার মুখে ঢেলে ঝলসে দেয়। পরে পরিবারের লোকজন ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গৃহবধূ আন্নি আক্তার ঘটনার পর দিন রূপগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। এতে দিশেহারা হয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই গৃহবধূ।