ঢাকা ১৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে এরইমধ্যে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন। একসময় বিএনপির হয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া ডিপজল কেন আওয়ামী লীগের টিকেট চাইছেন তা স্পষ্ট করে বলছেন না।
৯০ এর দশকে ঢাকাই সিনেমাই এমন নানা ডায়ালগ দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন খল চরিত্রের অভিনেতা ডিপজল। পরে তিনি নায়কের ভুমিকাতেও অভিনয় করেন কয়েকটি সিনেমায়। তিনি ছিলেন একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদও।
১৯৯৪ সালে তখনকার ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। কাজ করেন টানা ২২ বছর। বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে পরিচিতি পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, আমি তিনবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর ছিলাম। কিন্তু আপনারা বলেই যাচ্ছেন আমি বিএনপি ছিলাম, কিন্তু আমি যে বিএনপি ছিলাম সেটার কোন প্রমাণ নেই।
২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হন ডিপজল। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। দুর্নীতি দমন কমিশন ডিপজল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। তবে এসব মামলা বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে দাবি তার।
২০১০ সালের ১৬ই নভেম্বর সিগনাল ভঙ্গ করে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় আবারো গ্রেপ্তার হন তিনি। সে সময় ২৬শে জুন পল্টনে বিএনপির হরতালে গাড়ি পোড়ানোর মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিপজল বলেন, আমি কি রাস্তায় মারামারি করার লোক। কেউ কখনো দেখাতে পারবে যে আমি রাস্তায় মারামারি করছি। আমার বিরুদ্ধে করা একটা মামলারও কোন প্রমাণ দেখাতে পারবে না কেউ। আমার সব মামলা শেষ।
বিএনপির হয়ে কারাবরণ করা ডিপজল এবার ঢাকা ১৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, আমি জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। এলাকায় কিছু কাজ হয়েছে। আসলাম কিছু কাজ করেছে আরও কিছু কাজ দরকার। আমার ইচ্ছা যে কাজগুলো এখনো বাকী আছে সেগুলো যথাযথভাবে করার।
মনোনয়ন না পেলেও যিনি মনোনয়ন পাবেন তার হয়েই কাজ করবেন এমন প্রত্যয়ও জানান ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় এ অভিনেতা।