করোনা মহামারীর কারণে আগের মত ইফতার, ইফতারের আইটেম ও ইফতার পার্টি নিয়ে তেমন মাতামাতি না থাকলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীরা তাদের ইফতারের প্রিয় আইটেমগুলো আমিরাতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট ক্যাফে, রেস্টুরেন্টগুলো কিনে নেন। করোনার জন্য দোকানে জমায়েত বা পার্টি করে বসে খাওয়ার নানা বিধি নিষেধ থাকায় প্রবাসীরা দোকানে ইফতার না করে ইফতারের পছন্দমত আইটেমগুলো বাসায় নিয়ে যান।
ইফতারের নানা আইটেমের মাঝে ছোলা, পিয়াজু, পাকোড়া, জিলাপি, বেগুনি, মরিচ্চা, মুড়ি, তরমুজ, সামাম আর নানা প্রকারের শরবত, হালিম, মুখরোজ নানা স্বাদের বিরিয়ানী উল্লেখযোগ্য। বৈশ্বিক মহামারী করোনার নানা বিধিনিষেধের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে আগের মত জমায়েত করে ইফতার করার বা ইফতার পার্টি করার যে রেওয়াজ ছিল তা বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও প্রবাসীরা তাদের প্রিয় ইফতারের এসব খাবার দোকান হতে কিনে নিয়ে যান। দোকানদাররা সুলভের দেশিয় ইফতার বেচাকেনা করে বেশ আনন্দিত।
অপরদিকে প্রবাসীরা সুলভে দেশের প্রিয় খাবার পেয়ে খুশি তেমনিভাবে দোকানিরাও দেশি খাবার পেয়ে প্রবাসীদের মাঝে তুলে দিতে পেরে খুশি।
আমিরাতে ইফতারসহ খাবার দাবারে মূল্যবৃদ্ধি তেমনটা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে রমজানে খাবারেও বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে দোকানিরা।
এখানে খেজুর, আঙ্গুর, তরমুজ, সামমাম, কমলা, কলা, আপেল ও ফলমূলসহ সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যগুলো তুলনামূলক সস্তা ও সহজপ্রাপ্য। দেশের সব ধরনের ঘরোয়া খাবারগুলোও সুলভ মু্ল্যে হাতের নাগালে কিনতে পেরে প্রবাসীরাও বেশ আনন্দিত।
দেশীয় বিভিন্ন হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্ফেটেরিয়ার মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনার এ দুর্যোগে এবারের রমজানে বেচাকেনা সন্তোষজনক।
প্রবাসীরা জানায়, দেশীয় দোকান হতে নিজেদের পছন্দনীয়র খাবার সুলভে কিনতে পেরে তারা বেশ খুশি। তবে অনেক প্রবাসীদের আক্ষেপ দেশে থাকা তাদের আত্মীয় স্বজনদের জন্য।