নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে নৌকা সমর্থকদের হামলা, ভাঙচুর লুটপাটসহ ককটেল ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভাটারা পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীরা জানান, চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ খান বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এতে ফুঁসে ওঠেন একই ইউনিয়নের আ’লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বোরহান উদ্দিন বাদল ও তার সমর্থকরা। পরে একইদিন রাত ১১টায় বোরহান উদ্দিন বাদলের সমর্থকরা নৌকার পক্ষে শ্লোগান দিয়ে ভাটারার খাঁন বাড়ি মোড়ে যায়। সেখানে কাউকে না পেয়ে তারা হারুন অর রশিদের সমর্থকদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে মানিক মিয়ার স মিলসহ তার বসতঘর, ওয়াজেদ আলী ও সুমনের মনোহারি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে তারা ভাটারা পশ্চিমপাড়ায় মোতালেব হোসেনের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে মোতালেব হোসেনর স্ত্রী ময়না বেগম জানান, তিনি ভাঙচুরের শব্দে তারা জেগে ওঠেন এবং ভয়ে বাড়ির পিছনের ঝোপে লুকিয়ে পড়েন। এ সুযোগে হামলাকারীরা ঘরে রক্ষিত নকশি কাঁথার ২০ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে যায়।
স মিল ব্যবসায়ী মানিক জানান, স্ত্রী সন্তান নিয়ে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাই। এ সময় তারা স মিল ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বোরহান উদ্দিন বাদলের সমর্থকরা তার সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে তারা ভাটারা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে গিয়ে গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে উল্লাস করে। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বলে জানান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বোরহান উদ্দিন বাদল সাংবাদিকদের জানান, তার ভাতিজা মিল্টন বাড়ি ফেরার পথে হারুন খানের সমর্থকরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেয়। এ কারণে তার সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলেও তিনি জানান।
সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (ওসি) মীর রকিবুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।