নিষেধাজ্ঞা শেষে রাজধানীর সড়কে আবারও সরব গণপরিবহণ। শুরুর দিনে সকালে যাত্রীচাপ কম থাকলেও উপেক্ষিত গণপরিবহণ খুলে দেয়ার শর্ত৷ বাসগুলোতে নেই জীবাণুনাশক। মানা হচ্ছে না মাস্ক পরার সঠিক নিয়ম। শুধু পরিবহণ শ্রমিকই নন, যাত্রীদের মাঝেও দেখা গেছে সচেতনতার অভাব। গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা হচ্ছে তা পরিদর্শনে মোবাইল কোর্ট বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পরেনি।
তবে নির্দেশনা অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া নিয়ে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে বাস। নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৬ মে পর্যন্ত চলবে না এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়ার দূরপাল্লার বাস। বন্ধ থাকবে যাত্রীবাহী ট্রেন ও লঞ্চ।
এদিকে, দেশের সব জেলার ভেতরে সকাল থেকে চলছে গণপরিবহণ। সকালের দিকে বাসগুলো কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার পর বিভিন্ন রুটের বাসগুলোতে ভিড় দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না অনেকাংশেই। ডাবল সিটে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী।
চট্টগ্রামে গণপরিবহণ চালু হলেও কোনাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসে ওঠানোর সময় জীবানুণাশক স্প্রে দেয়ার কথা থাকলেও কোথাও তা দেয়া হয়নি। এছাড়া বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
বরিশালে টার্মিনাল থেকে অর্ধেক যাত্রী নেয়া হলেও মাঝপথে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর, রাজশাহীর কোথাও কোথাও উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রীদের অনেকেই মাস্ক পরছেন না। অতিরিক্ত যাত্রীর সাথে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। দূরের জেলার যাত্রীদের বারবার বাস পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ বাড়ছে।
এদিকে, খুলনার আভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলছে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে। সকালে চাপ কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে যাত্রীচাপ। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে যাত্রীদের দেয়া হচ্ছে মাস্ক।
অন্যদিকে, সিলেটে সকাল থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে গণপরিবহণ চালু হলেও ছিল না যাত্রীচাপ। পরিবহণ শ্রমিকরা জানান, যাত্রী কম থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। এখনো মাস্ক ব্যবহারে উদাসীন অনেক যাত্রী ও শ্রমিক।
এছাড়া ময়মনসিংহ, নাটোর, ফরিদপুরসহ সব জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।