দিনে ঘুরে ঘুরে চুরির জন্য টার্গেট করা। তারপর চুরি করার প্রস্তুতি নিতো চক্রের সদস্যরা।
চোর চক্রের সদস্য রিপন পিকআপ নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করে। গাফফার আর মাসুদ বাইরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। বাসা কিংবা অফিসের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢোকে নজরুল ও সোহাগ।
চুরির মালামাল পিকআপে করে নিয়ে গাফফারের বাসায় ভাগাভাগি করা হয়। মাসুদ তালুকদার অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে ল্যাপটপ ও মোবাইল বিক্রি করে। এসব বিজ্ঞাপন কাজে নিবন্ধন ছাড়া সিম ব্যবহার করা হয়। এছাড়া, চুরি করা স্বর্ণালংকার তাতিবাজার ও ল্যাপটপ বসুন্ধরা সিটির দোকানে বিক্রি করে চোর চক্র।
২১শে ফেব্রুয়ারি রাতে বিমানবন্দর থানার উত্তরার ১ নম্বর সেক্টরের প্রপার্টি কানেক্টের অফিসে ঢুকে একটি আইপ্যাড, ৪টি আইফোন, অব্যবহৃত ১৪টি ফোন সেট, দুটি ল্যাপটপ ও নগদ ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা চুরি করে এই চক্র।
পরে প্রযুক্তির সহায়তায় চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে চোরদেরও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ। আসামিরাও চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের (সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম) উপ কমিশনার মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, তারা যে স্বর্ণালংকার চুরি করতো সেগুলো তাতিবাজার এবং ল্যাপটপসহ অন্যান্য ডিভাইসগুলো বসুন্ধরা সিটির বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতো। আমরা তাদেরকেও তদন্ত করে আইনের আওতায় আনবো।
চোর চক্র কেনো ইয়াবা সেবন করে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তাদের ভাষ্যমতে ইয়াবা সেবন করলে তাদের মধ্যে একটা নাকি অলৌকিক শক্তি আসতো। তারা রাত জাগতে পারতো। দিনের বেলায় তারা ঘুরে ঘুরে টার্গেট ঠিক করতো আর রাতে সেখানে গিয়ে চুরি করতো।
এই চক্রের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এরা ঈদ ও বিভিন্ন ছুটিতে খালি বাসা, বন্ধ অফিসে চুরি করে। চক্রের অন্যদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।