সূত্র জানায়, এবারের সরকার অরাজনৈতিক সরকার। স্বল্প পরিসরে উপদেষ্টা দিয়ে দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে সিন্ডিকেট আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এদিকে বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি পণ্য। এর মধ্যেও রোজা শুরুর ৪ মাস আগেই সিন্ডিকেটের কারসাজিতে রোজা নির্ধারিত পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা। যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১২৫-১৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা।
নয়াবাজারের মুদি বিক্রেতা মো. তুহিন বলেন, রোজা ঘিরে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা রোজা শুরুর আগেই সিন্ডিকেট শুরু করেছে। পণ্যের চাহিদা এখন না থাকলেও রোজায় অতি মুনাফা করতে এখন থেকেই ছোলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাশাপাশি ৭ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ১৬০ টাকা ছিল। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭-১৭০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ১৬৫-১৭০ টাকা ছিল। এছাড়া দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ৩৩৫ টাকা ছিল। পাশাপাশি খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ১৫০ টাকা ছিল। আর পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ১৬০ টাকা। যা আগে ১৫৪ টাকা ছিল।
এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত রাইসব্রান তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে লিটারপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১৮৫-১৯৫ টাকা। সঙ্গে পাঁচ লিটারের বোতলজাত রাইসব্রান তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৮০-১০৫০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও ৮৮০-৯২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অন্যদিকে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণায় কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা কমলেও ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক মাস আগেও ১২০ টাকা ছিল। আর দুই মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৯০-১০০ টাকা। মসুর ডালের দাম নতুন করে বৃদ্ধি না হলেও ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি চিনি ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শ্যাম বাজারের আমদানিকারক ও পাইকারি আড়তদার শংকর চন্দ্র ঘোষ বলেন, সরকার এ মুহূর্তে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের সিদ্ধান্ত সঠিক নিয়েছে। এ সময় দেশি পেঁয়াজ শেষ ও নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসার মৌসুম। এ সময় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে যায়। এখন আমদানিতে খরচ কমায় সরবরাহ বাড়তে থাকবে। ইতোমধ্যে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে।