তবে আক্রান্তের সংখ্যা কেন কম, তা এখনি বলা সম্ভব নয় বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিসৎকেরা। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তারা।
রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালেই করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরীক্ষা করা হচ্ছে সারাদেশের বিভিন্ন ল্যাবে।
চলতি মাসের প্রথম দশদিন করোনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল বেশি। শনাক্তের সর্বোচ্চ হার ছিল ২৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
পরের ছয়দিন করোনা শনাক্তের এই হার উঠানামা করে। তারপর চারদিন ধরে শনাক্তের হার কমেছে।
হাসপাতালে ভর্তির চিত্রও একই রকম। দুইতিন দিন ধরে কমে আসছে রোগীর সংখ্যা। বেড়েছে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়া রোগীর সংখ্যা।
সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান বলেন,’তিন/চার দিন হলো আগের তুলানায় রোগীর চাপ একটু কম। রোগী ভর্তির হার কিছুটা কমেছে।’
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. জামিল আহমেদ জানান,’ইনফেকশনের রেট টা হয়তো আগে থেকে কমেছে। আমরা যত বেশি টেস্ট করতে পারবো, তত বেশি শনাক্ত করতে পারবো। আর শনাক্ত রোগীদের আইসোলেটেড করতে পারলেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসার কারণ এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ডা. খলিলুর রহমান আরও বলেন,’লকডাউনের ফলে একটু কমে আসছে। তবে নিয়ন্ত্রন যদি করতে না পারি তবে হাসপাতল যদি আরও বাড়াই তাতেও কোন কাজ হবে না।’
ব্রি. জে. জামিল আহমেদ আরও বলেন,’মুভমেন্ট যত বাড়বে বিস্তার তত কমায় ফেলা যাবে। করোনা তো নিজে হাঁটতে পারে না। আমাদের মাধ্যমে সে ছড়ায়।’
তারা বলছেন, লক ডাউন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে প্রভাব রাখছে কিনা তা জানতে আরো এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।