(১৪ এপ্রিল) ভোর থেকেই শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন। সরকার নির্ধারিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সকাল থেকেই পুলিশের সদস্যরা রাজধানীর প্রবেশ মুখসহ প্রধান সড়কের পাশাপাশি অলিগলিতে অবস্থান নেয় পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু দিনভর অভিযোগ এসেছে, জরুরি সেবা বিভাগে যাদের মুভমেন্ট পাস লাগার কথা নয় তাদেরও রাস্তা আটকে পাস চাওয়া হয়েছে। চিকিৎসক, সাংবাদিক, ডেলিভারিম্যান থেকে শুরু করে অনেকেই এমন অভিযোগ করেছেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু প্রথম দিন ছিল তারা অনেকটা কঠোর ছিলেন। আর এটা নতুন এক অভিজ্ঞতা। যারা মাঠে রয়েছে তারা অনেক কষ্ট করছেন একদিকে প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে প্রথম রোজা ছিল। প্রথম দিন হিসেবে বেশ কিছু বিষয় পর্যবেক্ষণে এসেছে। যেসব অভিজ্ঞতা হয়েছে সেগুলো এনালাইসিস করা হচ্ছে।
সকালে শ্যাওড়াপাড়া এলাকায় এক সাংবাদিকের গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মুভমেন্ট পাস সাংবাদিকদের লাগে না জানালে তাকে বলা হয়, তিনি সঠিক তথ্য জানেন না। এরপর তিনি কার্ড দেখিয়ে ও কোন এলাকায় যাবেন সেটি জানিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পান।
এ বিষয়ে চিকিৎসকদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, আমাদেরই যদি না যেতে দেওয়া হয় তাহলে জরুরি সেবা আওতামুক্ত জানানো হলো কেন?
সকাল থেকেই রাজধানীর প্রবেশ মুখ উত্তরা আব্দুল্লাহপুর, গাবতলি, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর নিরাপত্তা তল্লাশি বসায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে যারা যথাযথ প্রয়োজনীয় কাজ সম্পর্কে পুলিশকে অবহিত করতে পেরেছে, তারাই গন্তব্যে যেতে পেরেছে। যারা আওতামুক্ত তারাও কেউ কেউ পড়ে গেছেন জরিমানার অধীনে। তেমনই কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর দুজন চিকিৎসকের গাড়ি পুলিশের জরিমানা শিকার হয়। চিকিৎসারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়টি তুলে ধরেন।
জরুরি সেবার আওতায় চিকিৎসকরা থাকলেও কেন এমন মনে হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবুর রহমান চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুজন চিকিৎসকের ঘটনা আমি শুনেছি। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কী কারণে মামলা করা হলো এসব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি। যেসব বিভাগে এই মামলাগুলো করা হয়েছিল সেসব বিভাগের সংশ্লিষ্ট ডিসিদের জানানো হয়েছে মামলাগুলোর জরিমানা মওকুফ এর জন্য। এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, যেহেতু প্রথম দিন ছিল আমরা অনেকটা কঠোর ছিলাম। আর এটা আমাদের নতুন এক অভিজ্ঞতা। যারা মাঠে রয়েছে তারা অনেক কষ্ট করছেন একদিকে প্রচণ্ড গরম অন্যদিকে প্রথম রোজা ছিল। প্রথম দিন হিসেবে বেশ কিছু বিষয় আমাদের পর্যবেক্ষণে এসেছে। যেসব অভিজ্ঞতা হয়েছে সেগুলো আমরা এনালাইসিস করছি। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে সেবা আরও বাড়ানো যাবে।