বারবার সরকারি সিদ্ধান্ত বদলে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলানো যাবে না। আইন প্রয়োগের মাধ্যমে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে সংক্রমণ আরও ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। এমনটাই মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তাদের মতে, দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট দীর্ঘ পরিকল্পনা না থাকলে লকডাউন কিংবা নিষেধাজ্ঞায় কোনো কাজ দেবে না।সোমবার শুরু হয়েছে সাতদিনের লকডাউন। যদিও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, এটি ঠিক লডকাউন নয়, করোনার সংক্রমণ রোধে যান চলাচল বন্ধসহ কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলায় লকডাউন বা কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও চালু রয়েছে বই মেলা। চলছে শিল্প কারখানা। গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও দুইদিন পর শুধু দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আর শুরু থেকেই অবাধ চলাচল ছিল ব্যক্তিগত গাড়িসহ অন্যান্য বাহনের।
এমন অবস্থায় সংক্রমণ কীভাবে কমবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
করোনা মোকাবিলায় জাতীয় পরামর্শ কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, “রাস্তাঘাটে আগের মত লোকজন দেখা যাচ্ছে। লকডাউনের আগের দিন অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। তাদের অনেকেই হয়তো সংক্রমিত ছিলেন।”
করোনা মোকাবিলায় জাতীয় পরামর্শ কমিটির আরেক সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, “যেগুলো সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত আছে সেগুলো পরিহার করতে হবে। তা না হলে (লকডাউন) কার্যকরি হবে বলে মনে হয় না।”
বাংলাদেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে মনে করেনে ইংল্যান্ডের এই চিকিৎসক। ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এর চিকিৎসক ডা. সালমা হাসান বলেন, “দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা প্রয়োজন। সেটা প্রতিটা দেশ তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী একটা দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিতে পারে।”