মাটিতে বরবার বাংলাদেশের যা অবস্থা হয় এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আজ তৃতীয় ওয়ানডে ১৬৪ রানে হেরে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, তিনি নাকি এই সফরে ‘সময়ের সেরা পেস অ্যাটাক’ নিয়ে গেছেন! কিন্তু নিউজিল্যান্ডের পেস সহায়ক উইকেটে সিরিজজুড়ে বেদম মার খাওয়া ছাড়া পেসারদের আর কিছু করতে দেখা যায়নি।
ডানোডিনে প্রথম ওয়ানডেতে ১৩১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ হেরেছে ৮ উইকেটে। আর বোলিংয়ে নেমে মুস্তাফিজুর রহমান দিয়েছেন ৪ ওভারে ২৬ (ইকনোমি ৬.৫০), হাসান মাহামুদ ৪.২ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে ১ উইকেট (ইকনোমি ১১.৩১), তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট (ইকনোমি ৫.৭৫) নিয়েছেন। তাদের চেয়ে পার্টটাইম মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকারই ১ ওভারে ৫ রান দিয়ে মিতব্যয়ী ছিলেন। অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডের তাড়া করা ১৩২ রানের মধ্যে ৯৮ রানই দিয়েছেন তিন পেসার।
এবার নজর দেওয়া যাক দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। মুস্তাফিজুর রহমান ৮.৩ ওভারে ৬২ রানে ২ উইকেট নেন (ইকনোমি ৭.২৯)। তাসকিন ১০ ওভারে ৬৭ (ইকনোমি ৬.৭০) আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৭.২ ওভারে ৫.৮৬ ইকনোমিতে ৪৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। ২৭১ রান তাড়া করা কিউই ব্যাটসম্যানদের জন্য তিন পেসারের ‘অবদান’ ১৭২ রান, আর অর্জন মাত্র ২ উইকেট! এই যদি হয় ‘সময়ের সেরা পেস অ্যাটাকের’ হাল; তাহলে সময়ের খারাপ পেস অ্যাটাকের অবস্থা না জানি কী হয়!
আজ তৃতীয় ওয়ানডেতেও পেসাররা রান দেওয়া ছিলেন চরম উদার। মুস্তাফিজ আজ ১০ ওভারে ৮.৭০ ইকনোমিতে ৮৭ রান দিয়েছেন। বিনিময়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। তাসকিন ১০ ওভারে ৫২ রানে ১ উইকেট নিয়ে ইকনোমি ছয়ের নিচে রেখেছেন। সিরিজে প্রথমবার খেলা রুবেল দিয়েছেন ১০ ওভারে ৭০ রান! উইকেট পেয়েছেন ৩টি। আজও পার্টটাইমার সৌম্য সরকার ৮ ওভার বল করে ৪.৬৩ ইকনোমিতে মাত্র ৩৭ রান দিয়েছেন। উইকেটও নিয়েছেন একটি।