রায় ঘোষনার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নজরুল ইসলাম রাজপাড়া থানার বাজে সিলিন্দা এলাকার মৃত খবির উদ্দীনের পুত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৪ই মে ভোরে নজরুল ইসলামের স্ত্রী একটি ছাত্রাবাসে রান্নার কাজে গেলে সে তার ঘুমিয়ে থাকা কিশোরী কন্যা ঘরে ঢুকে গলায় চাকু ধরে মেয়েকে ধর্ষণ করে। ঘটনা না প্রকাশ করার জন্য মেয়েকে হত্যা করার হুমকিও দেয় নজরুল ইসলাম। এরপর নজরুল পালিয়ে যায়।
পরে মেয়েটি গর্ভবতী বলে রিপোর্ট আসে এবং একই বছরের ২২শে নভেম্বর মেয়েটি টিউবয়েলের পানি তুলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গেলে তার গর্ভপাত হয়। পরে গত বছরের ১৬ই ফেব্রুয়ারি মেয়েটির মা নারগিস বেগম বাদী হয়ে নজরুল ইসলামকে আসামি করে রাজপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও প্রমান ও আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হলে আদালত এরায় ঘোষনা করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি রাশেদ উন নবী আহসান বলেন, এটা খুবই নিকৃষ্ট একটি ঘটনা। এঘটনায় ১৬৪ ধারায় আসামী নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ১১ জন স্বাক্ষী তার বিরুদ্ধে জবানবন্দী দিয়েছেন। আদালত উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন তাকে।
এদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবি শরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় সে সময় ডিএনএ পরীক্ষা হয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।