আদালত সূত্রে জানা গেছে, জামসা গ্রামে ৪০ শতাংশ জমি নিয়ে লালচান ও আসামিদের মধ্য বিরোধ চলছিল। ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে আসামিরা লালচানকে তার জমিতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকা নেয়ার পথে লালচানের মৃত্যু হয়।
২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল লালচানের বাবা জামাল কাজী বাদী হয়ে শিবালয় থানায় ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই বছর ৫ ও ৭ এপ্রিল মানিকগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রধান আসামিসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেন। বাকিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশ ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ১২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। আদালত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামিদের উপস্থিতিতে ৪ জনের যাবজ্জীবন ও বাকিদের খালাস প্রদান করেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।