বাংলাদেশ দলে নির্ভরযোগ্য ফিনিশারের অভাব দীর্ঘদিনের। যা যতটুকু এতোদিন আশা হয়ে ছিল, সেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও চলতি ভারত সিরিজ শেষে অবসরে যাবেন। এরপর এই পজিশনে নতুন করে ভাবতে হবে টিম ম্যানেজম্যান্টকে।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে এখন থেকে দল ঘোচাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সম্ভাব্য ভূমিকায় এখন থেকে জল্পনা তৈরি হচ্ছে, কে নিতে পারেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর জায়গা।
নিজের অবসর ঘোষণার দিন রিয়াদ কথা বলেছেন সে প্রসঙ্গে। তার ভাষ্য, ৬-৭ নম্বরে যাকেই ব্যাটিংয়ে দায়িত্ব দেয়া হোক না কেনো, প্রথমত তাকে সমর্থন করতে হবে। কারণ এই পজিশনে কেউ প্রতিদিন ভালো করবে না। তাই রিয়াদের চাওয়া, অধিনায়ক থেকে শুরু করে বোর্ডের তরফ থেকে ওই ক্রিকেটারের ওপর আস্থা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ফিনিশার ভূমিকার কথা যদি চিন্তা করি… ৬-৭ এ ব্যাট করা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কঠিন। পাঁচ ইনিংস খেললে তিনটায় ব্যর্থ হবেন। একটাতে হয়তো ভালো ব্যাট করে দলকে জিতিয়ে আনবেন, আর একটাতে মোটামুটি খেলবেন।’
‘ওই পজিশনে ওই ব্যাটারের এটাই কাজ। এটাকে দল, টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ডের সমর্থন দিতে হবে। বাইরে যত কথাই হোক, মিডিয়া যতই না বলুক। ওই জিনিসগুলো বাদ দিতে হবে। এই পজিশনে যে ব্যাট করবে তাকে ব্যাক (সমর্থন) করতে হবে। এই নিশ্চয়তা পেলে সে অভূতপূর্ব ভালো করবে।’
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে শেষ দিকে ব্যাটিং করে আলোচনায় আছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। কিন্তু তাদের বেশিরভাগেরই ধারাবাহিকতার অভাব। রিয়াদ বলেছেন, ব্যর্থতা আসলেও সেটা নিয়ে ভাবা যাবে না। সাহসী হয়ে মোকাবিলা করতে হবে।
মাহমুদউল্লাহ আরো বলেন, ‘কয়েকজন আছে। জাকের আলী অনিক ভালো করছে। শামীম পাটোয়ারি আছে। আফিফ (হোসেন) একটা ভালো পছন্দ হতে পারে, ইয়াসির রাব্বিও আছে। বেশ কয়েকজন আছে। আপনাকে সাহসী হতে হবে, ব্যর্থতা নিয়ে ভাবা যাবে না।