১৫ তম ওভারে ওটনিয়েল বার্টমেনের করা লেগ স্টাম্পের বাইরের একটি বল মাহমুদউল্লার পায়ে লেগে চার হয়ে যায়। তবে তার আগেই বার্টমেনের আবেদনে সাড়া দিয়ে আউটের আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। পরে মাহমুদউল্লাহ রিভিউ নিলে দেখা যায় বল স্টাম্পের অনেক বাইরে ছিল। মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়া থেকে বাঁচলেও আম্পায়ার চটজলদি আঙুল তুলে দেওয়ায় আইসিসির নিয়মানুযায়ী চার রান পায়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে ওই ৪ রানের ব্যবধানেই। যা নিয়েই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হতাশা ঝরেছে তাওহিদ হৃদয়ের কণ্ঠে। আম্পায়ারদের দিকে আঙুল তুলে আরও পরিণত হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তাদের।
ম্যাচে কেবল ওই সিদ্ধান্তটিই নয়। পুরো ম্যাচে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। তাওহিদ হৃদয় নিজেও আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার। ১৮ তম ওভারে রাবাদার লেগ স্টাম্প ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়া বলটা আম্পায়ার আউট না দিলে বেঁচে যেতেন হৃদয়। তাতে হয়তো জয়টাও পেয়ে যেত বাংলাদেশ। যদিও শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কারণেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। রিভিউয়ে যা দেখা গেছে স্পষ্ট।
এমন হারের পর তাই আম্পায়ারের দিকে আঙুল তুলেছেন হৃদয়। যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে এটা গুড কল ছিল না। ম্যাচটা টাইট ছিল। আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলেন। আমাদের জন্য এটি মেনে নেওয়া কঠিন। ওই ৪ রান হলে ম্যাচের দৃশ্য বদলে যেত। এ নিয়ে আমার আর কিছু বলা ঠিক হবে না।’
শুধু এই দুটি আউটের সিদ্ধান্তই না পুরো ম্যাচে বেশ কয়েকটি ওয়াইডও দেয়নি আম্পায়ার। যা হলে হয়তো ম্যাচটা পক্ষেই আসতে পারত বাংলাদেশের। যা নিয়ে তাই হতাশ হৃদয়। তবে আম্পায়ারিংয়ে আরও উন্নতির কথা বলেছেন তিনি।
হৃদয় বলেন, ‘নিয়ম তো… আইসিসি কী করেছে এটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ওই ৪টা রান আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়ারও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আরও ২-১টা ওয়াইড দেয়নি। এমন ভেন্যুতে খেলা যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ। সে জায়গায় ১-২ রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। ওই ৪ রান বা ২ ওয়াইড ক্লোজ কল ছিল। আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। এই জায়গাগুলোতে উন্নতির জায়গা আছে।