সমাবেশে বক্তারা সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের বাড়িঘরে হামলা, লুটতরাজ, মন্দির ভাঙচুরকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী জানান, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ, এই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। এখানে কোন গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করবে আমরা তার সহ্য করবো না। আমরা তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবো।
এদিকে, শনিবার সকালে মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ। এসময় পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ ছাড়াও বিভিন্ন সনাতন ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এতে উপস্থিত হয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান।
অ্যাড. মাখন লাল দাশের সভাপতিত্বে এবং নির্মল কান্তি দেব এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রাধাপদ দেব সজল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. পিযূষ কান্তি সেন ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায় মুন্নাসহ অনেকে। সমাবেশ থেকে বক্তারা সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু বাড়িতে হামলা ও মন্দির ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানান। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিও জানানো হয় সমাবেশে।
অন্যদিকে, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাতের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে জাতীয় হিন্দু মহাজোট, যুব ও ছাত্র মহাজোট জেলা শাখা।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিপ্লব দত্ত পল্টন, জেলা হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি পবিত্র সরকার, যুব মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি গৌতম কর্মকারসহ হিন্দু মহাজোট ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।