আরও একটা বিশ্বকাপ, আরও একবার হট ফেভারিট। ২০১১ সালের পর একটা বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে কি না করেছে ভারত! নানা সময়ে উঠেছে পক্ষপাতের অভিযোগও। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। সময়ের সেরা দল নিয়েও বারবারই ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই।
ম্যান ইন ব্লুদের হয়ে শেষ অ্যাসাইনমেন্ট কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। যে মিশন শুরু হচ্ছে নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। প্রতিপক্ষ দুর্বল আয়ারল্যান্ড। সদ্য সমাপ্ত দীর্ঘ আইপিএল শেষে আছে ক্লান্তি, তবে দলটাতো পেশাদার। শেষ অনুশীলনে গোটা দল নিয়েই ভীষণ মনোযোগী কোচ।
তবে তাকে ভাবতে হচ্ছে ওপেনিং পজিশন নিয়ে। যে স্লটের দাবিদার তিনজন। বিরাট কোহলি, সাঞ্জু স্যামসন নাকি যশস্বী জয়সওয়াল। আইপিএলে আরসিবির জার্সিতে ৭৪১ রান। তারপরেও স্ট্রাইকরেট নিয়ে কত কথা। তবুও অভিজ্ঞতার বিচারে বিরাটেই ভরসা।
টিম ইন্ডিয়ার জন্য মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে নিউ ইয়র্কের স্লো আউটফিল্ড আর ড্রপ-ইন-পিচ। বিশেষ করে লঙ্কা-প্রোটিয়া ম্যাচে ছিল লো-স্কোরিং। ব্যাটসম্যানরা রীতিমতো ধুঁকেছে। তবে দলের ওপরই আস্থা রাহুলের।
ওয়ান ডাউনে সূর্যকুমার যাদব, বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে রান করে একাদশে জায়গা নিশ্চিত করেছেন রিশাভ পন্ত। ব্যাটে বলে এই দলটার এক্স ফ্যাক্টর হতে পারেন শিভাম দুবে। একাদশের বাকি নামগুলো প্রত্যাশিত। হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং ও মোহাম্মদ সিরাজ সিরাজ। দুই স্পিনার জাদেজা-কুলদীপ। সব মিলিয়ে প্রথম ম্যাচে ভারতের একাদশ হতে পারে অনেকটাই এমন।
বিপরীতে আইরিশ দলটাও ছন্দে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা হারিয়েছে পাকিস্তানকে। বালবার্নি, স্টার্লিং, টাকার, টেক্টর, ছোট ফরম্যাটের বড় তারকা। তাইতো কিছুটা অসম হলেও এক উইটেকেটের বিবেচনায় লড়াইটা হতে পারে জম্পেশ। সব ছাপিয়ে টস রাখতে পারে মূখ্য ভূমিকা।