শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৮২/৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ভারত।
১২০ বলে ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২০ রান করতে সক্ষম হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারান ওপেনার সাঞ্জু স্যামসন। এরপর রোহিত শর্মার সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন ঋষভ পন্থ।
ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে চারটি চার আর চারটি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রান করে সেচ্ছায় সাজঘরে ফেরেন ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ।
১৬ বলে ১৪ রান করে ফেরেন শুভম দুবে। এরপর ১৮ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ফেরেন সুরাইয়া কুমার যাদব। ২৩ বলে দুটি চার আর চারটি ছক্কায় ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া।
বাংলাদেশ দলের হয়ে মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানভির ইসলাম।
১২০ বলে ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম, তৃতীয় এবং চতুর্থ ওভারে সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন সৌম্য সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে অফ ফর্মে থাকা এই ওপেনার ২ বলে শূন্য রানে ফেরেন। এরপর আর্শদীপ সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন কুমার দাস। তিনি ৮ বলে এক চারে ৬ রান করে ফেরেন লিটন। এর আগে সবশেষ চার ম্যাচে ১, ২৩, ১২ ও ১৪ রানে আউট হন লিটন।
সৌম্য-লিটনের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস মেরামত করার আগেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৬ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন। তার বিদায়ে ৩.৫ ওভারে মাত্র ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
দলীয় ৩৯ ও ৪১ রানে ফেরেন তাওহিদ হৃদয় আর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৪১ রানে ৫ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন সাবেক দুই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারা ৭০ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১১১ রানে ২৮ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ৪০ রান সেচ্ছায় ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯ উইকেটে ১২০ রানে ইনিংস গুটায় বাংলাদেশ। ৩৪ বলে দুই বাউন্ডারিতে ২৮ রান করে সাকিব।