বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মারফত জানা গেছে হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক’র উস্কানিতে ও হেফাজতের অনুসারিরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে এ বীভৎস সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটাতে সক্ষম হয়। সংবাদ পত্র অনুসারে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে জেনেও যথাযত ব্যবস্থা নেয়নি।আমরা অবিলম্বে উস্কানিদাতা মামুনুল হক ও শাল্লার নিরীহ মানুষের উপর আক্রমনকারী ও অগ্নিসংযোগকারী-লুন্ঠনকারী সকল দাঙ্গাবাজদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সেখানে আড় বলা হয়, গত বেশ ক’বছর ধরে বিভিন্ন মহলের প্রশ্রয়ে সাম্প্রদায়িক হেফাজত- জামাতীরা দেশের বিভিন্নস্থানে এ ধরণের ঘটনা সাহস পাচ্ছে।
পাশাপাশি এই সাম্প্রদায়িক শক্তি সামিজক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের অনেক প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নামে কুৎসা রটনা করছে অথচ বিআরটিসি এই কুৎসা রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।আমরা এই দন্ডযোগ্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিআরটিসি’র যথাযত তৎপরতা প্রত্যাশা করি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমাদের আশঙ্কা শেখ হাসিনা দেশকে যে লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এবং বিশ্বব্যপী বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন, শাল্লাজাতীয় সাম্প্রদায়িক ঘটনা সেই ভাবমূর্তিকে বিনষ্টকরবে এবং একটি নেতিবাচক দেশ হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রতীয়মান হবে।
আরো বলা হয়, অতীতে আমরা দেখেছি যারা এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচারকার্য এখনো সন্পন্ন হয়নি। আমদের আশঙ্কা এ ধরণের সাম্প্রদায়িক ঘটনা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেনা, পিছিয়ে যাবে এবং এতোদিনের সব অর্জন ভুলুণ্ঠিত হবে। এই দাঙ্গাবাজ সাম্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সরকার যে ব্যবস্থাই নেন তা সরকারের বিবেচনা।
১০ জন বিশিষ্ট নাগরিক হলেন, ১)আবদুল গাফ্ফার চৌধুরি, ২)হাসান আজিজুল হক ৩)শামসুজ্জামান খান ৪)সারোয়ার আলী ৫)মফিদুল হক ৬)মামুনুর রশীদ ৭)মুনতাসীর মামুন ৮)শাহরিয়ার কবীর ৯)আবদুস সেলিম ১০)নাসির উদ্দীন ইউসুফ।