আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন সময়ে অভিমানে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তামিম ইকবাল। গত ৬ জুলাই চট্টগ্রামে তার অবসরের ঘোষণায় চমকে যায় পুরোদেশ।
অভিমানি তামিমকে গণভবনে ডেকে তার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময় তামিমের সঙ্গে ছিলেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সংবাদমাধ্যমকে তামিম জানান, ‘আজ দুপুরবেলায় আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাসায় দাওয়াত করেছিলেন। ওনার সঙ্গে অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার অবসর এই মুহূর্তে তুলে নিচ্ছি। কারণ, আমি সবাইকে না বলতে পারি, কিন্তু দেশের যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তি, তাকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড় মাসের জন্য একটা ছুটিও দিয়েছেন। আমি যেন মানসিকভাবে আরেকটু ফ্রি হতে পারি।’
বুধবার দেশের বেসরকারি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে তামিমের অবসর প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘তামিমের ওপর কী গিয়েছে, তামিম ঠিক ততটা আমার সঙ্গে শেয়ার করেনি। তবে আমি হতাশ হয়েছি তামিমকে দুর্বল দেখে। সে একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, ওর পক্ষেও অনেক লোক আছে। তামিম এটুকু লড়াই করতে না পেরে ভেঙে পরবে তা আমার কাছে মনে হয়নি। তবে কখনো কখনো মানুষ ভেঙে পড়ে, তখন মানুষের সহায়তা প্রয়োজন হয়।’
তামিমকে ‘ভাগ্যবান’ ক্রিকেটার উল্লেখ করে মাশরাফি বলেন, ‘আমি মনে করি তামিম খুবই ভাগ্যবান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে ডেকেছেন, কথা বলেছেন এবং তাকে ক্রিকেটে ফিরিয়ে এনেছেন। এমন সৌভাগ্য সবার হয় না।’
মাশরাফি আরও বলেন, ‘তামিম পারফর্ম করছে না। তার কারণ ওর ইনজুরি। তামিমের ইনজুরিটা ঠিক করে আসা উচিত। ওর এখন উচিত, ইনজুরি নিয়ে চিন্তা করা।