আফগানিস্তানের কাছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আরো বাজেভাবে হেরে সিরিজ খোয়ানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজ করলেন সেই চেষ্টাই, ‘আমরা যে সুপার লিগে তিন নম্বর অবস্থানে আছি, সেটি কিন্তু বড় বড় দলগুলোকে হারিয়েই।’ তাঁর দাবির সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই।
আফগানিস্তানের কাছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আরো বাজেভাবে হেরে সিরিজ খোয়ানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজ করলেন সেই চেষ্টাই, ‘আমরা যে সুপার লিগে তিন নম্বর অবস্থানে আছি, সেটি কিন্তু বড় বড় দলগুলোকে হারিয়েই।’ তাঁর দাবির সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই।
সর্বশেষ বড় কোনো দলকে হারানোর ঘটনা এই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই। গত মার্চে ঢাকায় সিরিজ হেরে এখানে আসার পরই বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের আনন্দে মেতেছিল পুরো দেশ। সেই ওয়ানডে থেকেই শুরু হওয়া জয়যাত্রা এরপর তিন সংস্করণেই বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিল আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে।
অস্ট্রেলিয়ায় সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করার পর অবশ্য আর কোনো বড় দলের মুখোমুখি তাদের হতে হয়নি। এরপর সাদা বলে শুধুই আয়ারল্যান্ড, দেশে এবং বিদেশে। সিলেটে আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজে স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলার ধারা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। সফলও হয় বেশ। রান ফোয়ারা বয়ে যায়, চলে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতাও। প্রথম ওয়ানডেতে রেকর্ড নিজেদের ইতিহাস সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান করার পরের ম্যাচেই ৩৪৯। এরপর ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৩২০ রানের লক্ষ্য তাড়ায়ও সফল হয়। সুবাদে সুখী সংসারের ছবি হয়ে ওঠে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম। ওপেনিং থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার নিয়ে তেমন কোনো অস্বস্তি ছিল না। বিশ্বকাপ সামনে রেখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বরং লেট অর্ডার একটু ঝালিয়ে নেওয়ার আলোচনাই ছিল। কিন্তু আফগানদের বিপক্ষে সিরিজে দেখা গেল, কিছুদিন আগেও অবলীলায় ৩০০-৩৫০ রান করায় অভ্যস্ত হয়ে উঠতে থাকা দল করতে পারছে বড়জোর এর অর্ধেক (১৬৯ ও ১৮৯)। তবে কি আইরিশদের উড়িয়ে দেওয়াই ভুল আত্মবিশ্বাসের বার্তা ছড়িয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে? সেটিকে একমাত্র কারণ বলে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। এটিও তো ঠিক যে আয়ারল্যান্ড দলে রশিদ খান কিংবা মুজিব-উর রহমান ছিলেন না। কিংবা প্রতিপক্ষকে দুমড়ে-মুচড়ে দিতে সক্ষম ফজলহক ফারুকির মতো ফাস্ট বোলারও।