ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ট্রেন্ট বোল্টের শুরু ও শেষের ধাক্কাতেই এলোমেলো হয়ে যায় ম্যাচে। এই পেসারের সঙ্গে আলো ছড়ান জিমি নিশাম, ম্যাট হেনরি ও কাইল জেমিসনও। পেসারদের পাশাপাশি স্পিনেও সাফল্য পেয়েছেন মিচেল স্যান্টনার। তাদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে ৪১.৫ ওভারে অলআউট হয়েছে তামিম ইকবালের দল। অবশ্য প্রথম ওয়ানডেতে কিউই বোলারদের সাফল্যে সবচেয়ে বেশি অবদান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরই! ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্যই করেছেন তামিম, ‘আমরা ভালো খেলিনি, ভুল শট সিলেকশন ছিল দেখেই ১৩১ রান করেছি। আশা করি সামনের ম্যাচগুলোয় আমরা এমন ভুল আর করবো না। আমাদের অনেক সফট ডিসমিসাল ছিল, এগুলো আর পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। পরের ম্যাচে ভালো কিছু করতে হলে কমপক্ষে আমাদের ২৭০-২৮০ রান করতে হবে।’
কিউইদের মাঝে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। টপ অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার গুঁড়িয়ে দেওয়া বাঁহাতি পেসার ৮.৫ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। বোল্টের বলে ভুগেছেন তামিম নিজেও। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন সকালে ব্যাটিং করাই বেশ কঠিন ছিল, ‘সকালে ব্যাটিং করাটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। সিম হচ্ছিল, সুইং হচ্ছিল। তারপরও আমি মনে করি ভুলটা আমাদেরই। নিজেরা বাজে শট খেলে আউট হয়েছি। যা আমরা আশা করি না। মনে করি ১৩১ রান করার মতো দল আমরা নই, যতই কঠিন পরিস্থিতি থাকুক না কেন।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সৌম্য সরকারকে সাত নম্বরে খেলানো হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও ছিল। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন নম্বরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। যদিও এখানে টিম কম্বিনেশনের কারণেই আগের অবস্থানে তার সুযোগ মিলেছে। সৌম্যর ব্যাপারে তামিম বলেছেন, ‘সৌম্যকে আমরা সাত নম্বরে দেখেছি। কিন্তু আমরা আজকে যে দল নিয়ে খেলেছি, সেখানে সিক্সথ বোলার কেউ ছিল না। রিয়াদ ভাই তার ব্যাক ইনজুরির কারণে বল করতে পারছেন না। হয়তো এই পুরো সিরিজেও বল করতে পারবেন না। তো ওই কম্বিনেশনে আজ সৌম্যকে দিয়ে বল করানো হয়েছে।