আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পালটাপালটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘর, দোকানপাট ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার কালিয়াহরিপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, হামলার ঘটনার জন্য বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একে অপরকে দায়ী করেছে।
কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। এতে দলের কোনো নেতা-কর্মী গুরুতর আহত না হলেও কয়েকজন ইটপাটকেলের আঘাতে সামান্য আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৮/১০টি দোকানপাট এবং ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এখন পরিবেশ আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান জানান, পাইকপাড়া বাজার এলাকা থেকে পদযাত্রা করে পাশের বাঐতারা বাজারের দিকে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পেছন থেকে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে বিএনপির প্রায় ১০/১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল। এ ছাড়া ৫/৭টি বাড়িঘরে হামলা করা হয় ও কয়েকটি গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি।
সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সভা করছিলাম। এ সময় খবর পেলাম পাইকপাড়ায় আওয়ামী লীগের শান্তির সমাবেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। বিএনপির সন্ত্রাসীরা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ১২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বিএনপি পদযাত্রার নামে সন্ত্রাসযাত্রা শুরু করেছে।’
হাবিবে মিল্লাত মুন্না আরও বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও তার স্ত্রী রুমানা মাহমুদ রাতে এসে সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করেন। আমরা এই সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যারা এই সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে সিরাজগঞ্জ ও কামারখন্দের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।’
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, দুই দলের পালটাপালটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।