ভৈরবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলমের বাসায় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় থানায় বসে মীমাংসা হয়। এ সময় হামলার দায় স্বীকার করে মাফ চাইলেন যুবলীগ নেতা আল-আমিনের দুই চাচা খলিলুর রহমান ও রাজু আহমেদ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় ভৈরব থানায় বসে এক সালিশি সভায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম, ভৈরব চেম্বারের সভাপতি মো. হুমায়ূন কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা আল-আমিনের চাচা মো. আবুল মনসুর, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাংগীর আলম, আবদুল মালেক প্রমুখ।
সালিশি সভায় সভাপতিত্ব করেন হুমায়ূন কবির। তবে যার ইন্ধনে ঘটনা ঘটেছে সেই যুবলীগ নেতা আল-আমিন সালিশি সভায় অসুস্থতার কারণে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা আল-আমিন গত রোববার রাতে চেয়ারম্যান লিটনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। পরে তার সমর্থক সন্ত্রাসীরা ফেরার পথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসায় ইট পাটকেল ছুড়ে। এ সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।
ঘটনার খবর স্থানীয় নেতাদের মধ্য ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারপর সোমবার সন্ধ্যায় থানায় বসে ঘটনার অপরাধের জন্য আল-আমিনের বংশের লোকজন সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
সালিশি মীমাংসার সময় থানার ওসি যথাযথ ভূমিকা পালন করে ঘটনাটি মীমাংসা করে শেষ করেন।
এ বিষয়ে ভৈরব চেম্বারের সভাপতি ঘটনা স্বীকার করে বলেন, এলাকার শান্তির জন্য আমি ঘটনাটি মীমাংসা করে দিয়েছি।