তাঁদের মধ্যে হাসিবুল হাসান শান্ত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ঘোষকামতা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে পূর্ব ভাটারায় একটি বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন তাঁরা।
তাঁদের মধ্যে হাসিবুল হাসান শান্ত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ঘোষকামতা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে পূর্ব ভাটারায় একটি বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকতেন তাঁরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে রুমের দরজা বন্ধ করে উচ্চ স্বরে গান চালান হাসিবুল। এরপর রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা গান বাজতে থাকে। পরিবারের লোকজন তাঁকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হলে রুমের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন হাসিবুল। পরে থানায় খবর দেয় তারা।
তাঁর রুমে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। যেখানে নিজের হতাশার কথা লিখে গেছেন শান্ত।
অন্যদিকে নুরজাহানের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম গোলাম মোস্তফা। স্বামী মোজাহিদ ও পাঁচ বছরের ছেলে গালিবকে নিয়ে ভাটারার নূরেরচালায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।
স্বামী মুজাহিদ জানান, তিনি ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন ঘরের ফ্লোরে পড়ে আছেন নুরজাহান। তাঁর নাক, মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। দ্রুত তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নুরজাহান উচ্চ রক্তচাপ ও মাথাব্যথার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
ভাটারা থানার এসআই সাইদুল ইসলাম সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, রাত দেড়টার দিকে খবর পেয়ে নুরজাহানের লাশ কুর্মিটোলা থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। অসুস্থতাজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার দাবি করলেও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।