সন্ধ্যায় শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ঝড় তুললেন সাকিব আল হাসান। ফরচুন বরিশালের হয়ে ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব। ২০৯.৩৭ স্ট্রাইক রেটে খেলা সাকিবের এই ইনিংসে আছে চারটি ছক্কা ও সাত চারের মারের।
অধিনায়কের এমন তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৯৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বরিশাল। জিততে হলে মাশরাফিদের করতে হবে ১৯৫ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলটির দুই ওপেনার চতুরঙ্গা ডি সিলভা ও আনামুল হক মিলে তুলে ফেলেন ৬৭ রান। ২১ বলে ২৯ রান করা আনামুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মাশরাফি। এরপর চতুরাঙ্গাকে (৩৬) ফেরান পাকিস্তানি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম।
৬ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর দলীয় ১০৮ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটও হারায় তারা। ইফতিখারকে (১৩) ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মাশরাফি।
এরপর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন সাকিব। ২০ বলে তাদের জুটিতে আসে ৩০ রান। ১২ বলে ১৯ রান করে রিয়াদ থিসারার শিকার হন।
রিয়াদ বিদায় নিলেও চলতে থাকে সাকিবের তাণ্ডব। তবে ব্যক্তিগত ৩২ রানে জীবন পান সাকিব। এর মধ্যে জীবন পেয়ে সাকিব আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। ১৭তম ওভারে তার ৩ চার ও ১ ছক্কায় আসে ১৯ রান। এর মধ্যেই ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন সাকিব।
এরপর ১৯তম ওভারে ফের জীবন পান সাকিব। তবে পরের ওভারেই সাকিবকে থামান মাশরাফি। তবে সেটাও ছিল বিতর্কিত। কারণ রিপ্লেতে দেখা যায় সেটা নো বল ছিল।
বিদায়ের আগে ৩২ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৭ রান করেন সাকিব।