আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নয়াদিল্লিগামী বিমানে এক নারী সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গত ২৬ নভেম্বর ঘটেছিল। তবে সেটি সামনে আসে ওই নারীর অভিযোগের পর।
শেখর মিশ্র (৩৮) নামে ওই যুবক একজন ব্যবসায়ী। তিনি মুম্বাইতে থাকেন। জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবক এ কাণ্ড ঘটানোর সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
তার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশে অভিযোগ করেন ওই নারী। এ কারণে তাকে ৩০ দিনের জন্য বিমানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পাশাপাশি শেখর মিশ্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ২৯৪, ৫০৯, ৫১০নং ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তিন বছর পর্যন্ত মেয়াদের জন্য জেলে যেতে হতে পারে।
ভুক্তভোগী সহযাত্রী পুরো ঘটনা জানিয়ে টাটার চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে একটি চিঠি লেখেন। এর পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে এয়ার ইন্ডিয়া।
অভিযোগে জানা যায়, ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার গায়ে মত্ত অবস্থায় মূত্র বিসর্জন করেছিলেন শেখর। সেই বৃদ্ধা এ ঘটনা সম্পর্কে কেবিন ক্রুকে অবগত করলেও অভিযুক্ত যাত্রীর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি দিল্লি বিমানবন্দরে সেই বিমানটি অবতরণ করার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের বাড়ি চলে যান। তখন সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তবে জাতীয় মহিলা কমিশন ঘটনাটি নিয়ে সক্রিয় হয়েছে। পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এআই-১০২নং ফ্লাইটে ঘটনাটি ঘটেছে। নিউইয়র্ক বিমানবন্দর থেকে উড়ানটি টেকঅফ করার পর লাঞ্চ দেওয়া হয় যাত্রীদের। এর পর যাত্রীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিমানের লাইট বন্ধ করে দেওয়া। এর পরই অভিযুক্ত ব্যক্তি বৃদ্ধার আসনের সামনে এসে নিজের প্যান্টের চেন খুলে প্রস্রাব করেন।
প্রস্রাব করার পর বেশ কিছুক্ষণ ওই যুবক সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী। অন্য যাত্রীরা ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেন।
এতে তার পোশাক, জুতা, ব্যাগ সব কিছুই ভিজে যায়। বিমানকর্মীদের কাছে অভিযোগ জানানোর পর প্রথমে তার আসনে শুধু জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হয়, তবে বিজনেস ক্লাসে অন্য খালি আসন থাকলেও সেখানে তাকে বসতে দেওয়া হয়নি, এমনটিই অভিযোগ ওই নারীর।
পরে তাকে শুধু সামান্য নতুন পোশাক দেন বিমানকর্মীরা আর তার আসনটি একটা চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।