ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়। অতিরিক্ত সময়েও হয় একটি করে গোল। ১২০ মিনিট খেলা ৩-৩ ড্র হওয়ায়। টাইব্রেকারে গড়ায়।
সেই ম্যাচে গত আসরের শিরোপাজয়ী ফ্রান্সাকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।
গোলের মুহূর্তে আর্জেন্টিনার দুই বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। এমন অভিযোগে গোলটি বাতিলযোগ্য বলে দাবি উঠেছে ফরাসি সংবাদমাধ্যমে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রধান রেফারির দায়িত্বে ছিলেন সিমন মার্চিনিয়াক। গোলের সেই বিতর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলব ফরাসি সংবাদমাধ্যমটি বোকার মতো কাজ করেছে। কিছু জিনিস তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে। আমাদের কাছে এমন একটি ছবি আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সের গোলের সময় ওদের সাতজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিল।’
এর আগে ফিফার বিধি প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) দ্য আথলেটিককে জানায়, গোলের মুহূর্তে কোনো খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়লেই গোল বাতিল হয় না। বাতিল হয়, যদি মাঠে ঢুকে পড়া খেলোয়াড় বা কোচিং স্টাফ সদস্য খেলার ভেতর কোনো হস্তক্ষেপ বা প্রভাব রাখে। কিন্তু ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দেওয়া মেসির গোলটির সময় মাঠে ঢুকে পড়া খেলোয়াড়রা ছিলেন অনেক দূরে।
ভিএআর সহযোগীসহ মাঠের তিন রেফারি নিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করা মার্চিনিয়াক জানান, ‘আমার কাছে খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়াটাই সবচেয়ে বড়। ম্যাচ শেষে অলিভিয়ের জিরু এসে আমার সঙ্গে হাত মেলাল। উগো লরিস, কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হাত মেলাল, ধন্যবাদ দিল। ওদের কেউ রেফারিং নিয়ে কোনো অভিযোগ জানায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পারফরম্যান্সের দিক থেকে ফাইনাল নিখুঁত ছিল না। কিছু ছোটখাটো বিশৃঙ্খলা হয়েছে। তবে আমি আমার মতো করে সামলে নিয়েছি। আমি কাউকে কার্ড দেখাতে চাইনি। যদিও দুটি ঘটনায় কার্ড দেখালে হয়তো ভালোই হতো।