কোনো আক্ষেপ নেই, নেই কোনো হাহাকার কিংবা হতাশার কোনো গল্প; কারণ আর্জেন্টিনা এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ৩৬ বছরের অপেক্ষার শেষ হলো মরুর বুকে। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিল লিওনেল মেসির দল। জোড়া গোল করলেন মেসি, গোল করলেন ডি মারিয়া, বৃথা গেল এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক।
টাইব্রেকারের নায়ক এমি মার্টিনেজ। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে মেসি পেলেন শিরোপার দেখা।
লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফাইনালের শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ফুটবল খেলছিল আর্জেন্টিনা। পঞ্চম মিনিটে তারা প্রথম শট নেয়। ২৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় মেসি বাহিনী। ডি বক্সের ভেতর আনহেল দি মারিয়াকে উসমান দেম্বেল ফাউল করায় পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে দেন লিওনেল মেসি। চলতি আসরে এটি মেসির ষষ্ঠ গোল। ৩৬তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আনহেল ডি মারিয়া। মাঝমাঠ থেকে মেসির বাড়ানো বল ধরে হুলিয়ান আলভারেস পাস দেন আলিস্তেরকে। তার পাস বক্সে বাঁ দিকে ফাঁকায় পেয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ডি মারিয়া।
বিরতির পর দুই দলই পাল্টাপাল্টি আক্রমণ করে যাচ্ছিল। ৬৪তম মিনিটে ডি মারিয়াকে তুলে আকুনিয়াকে নামান স্কালোনি। শেষদিকে ম্যাচে আসে নাটকীয় মোড়। ৮০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান কিলিয়ান এমবাপ্পে। পরের মিনিটেই এই তরুণ তারকার অসাধারণ এক গোলে ম্যাচে ফিরে সমতা। যোগ করা সময়ের ৬ষ্ঠ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেসির বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান হুগো লরিস। ৯০ মিনিট ২-২ সমতায় শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে একদম ফাঁকায় বল পেয়েও গোলবারের বাইরে মারেন লাউতারো মার্টিনেজ। ১০৮ মিনিটে আর্জেন্টিনার ত্রাতা হন মেসি। তার চোখ ধাঁধানো গোলে স্কোরলাইন হয় ৩-২। মেসির আলতো ছোঁয়া ঠেকিয়েছিলেন ফ্রান্সের এক ডিফেন্ডার, কিন্তু তখন তিনি ছিলেন গোলপোস্টের ভেতর! ১১৭ তম মিনিটে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। স্পটকিক থেকে আবারও ম্যাচে সমতা ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে।