মাটিতে অধরা সাফল্য পেতে হলে পাল্টা আক্রমণ এবং ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আগামী ২০ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাইয়ের জন্য প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়। এই সিরিজ দিয়েই পূর্ণাঙ্গ অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার বিদেশের মাটিতে নেতৃত্ব দেবেন তামিম।
সাফল্যের রেসিপি নিয়ে তামিম বলেন, ‘চাপ তৈরি করার চাইতে আমাদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে, আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট বলতে প্রতি ১০ ওভারে ১০০ রান করতে হবে সেটা বুঝাইনি বা প্রথম ৫ ওভারে ৫ উইকেট নিয়ে নিতে হবে। আমাদের সবকিছুতে ইতিবাচক থাকতে হবে, যাই করিনা কেন। যেহেতু আমাদের অতীত রেকর্ড ভালোনা এখানে সেহেতু ভিন্নভাবে কাজ করতে হবে, ভিন্নভাবে ভাবতে হবে।’
নিউজিল্যান্ডের উইকেট পেস সহায়ক হওয়ায় বোলারদের ওপর জোর দিচ্ছেন তামিম। একাদশেও থাকবে তিন পেসার। অধিনায়ক বলেন, ‘আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো বোলিং বিভাগ। আমরা যদি বোলিংয়ে আক্রমণাত্মক থাকতে পারি… আমি আসলে আমাদের নতুন পেসারদের নিয়ে বেশ আশাবাদী। এভাবেই তাদের শিখতে হবে। আমি খুবই এক্সাইটেড। তারা কঠোর পরিশ্রম করছে। নেটে বলেন, প্রস্তুতি ম্যাচ বলে ওরা ভালো বল করেছে। সুতরাং আমি খুব আশাবাদি তারা ভালো করবে। ওরা যদি ভালো করে তবে আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।’
নিয়মিত কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আর রস টেইলরের না থাকা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন তামিম, ‘ওদের দুইটা গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার খেলছে না তাই এটা অবশ্যই এডভান্টেজ। তবে তারা কোয়ালিটি টিম। দেশের মাটিতে অপ্রতিরোধ্য। নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে নতুন বলে প্রথম ১০-১৫ ওভার খুব কঠিন। তাই এই সময়ে উইকেট পড়ে যাওয়া বা স্ট্রাগল করা স্বাভাবিক। কারণ আমরা যে ধরনের উইকেটে খেলতে অভ্যস্ত, এখানে বল বেশি সুইং করে। তাই এখানে নতুন বল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং।