বিশ্বকাপের তৃতীয় দিনেই বড় অঘটন ঘটিয়ে দিল সৌদি আরব। শিরোপার অন্যতম দাবিদার লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে তারা হারিয়ে দিয়েছে ২-১ ব্যবধানে। যদিও ম্যাচের শুরুতে মেসির পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু বিরতির পর দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফেরে সৌদি।
তাদের আক্রমণের সামনে খেই হারিয়ে আর্জেন্টিনা বরণ করল পরাজয়। এর ফলে তাদের টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ডও থেমে গেল।
ম্যাচের শুরু থেকেই মেরে খেলছিলেন সৌদি ফুটবলাররা। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে কর্নার কিক পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসি কিক নেওয়ার সময় বক্সের মধ্যে লিয়ান্দ্রো পারদেসকে ধাক্কা ফেলে দেন আল বুলাইহি। এর পরই ভিএআর চেক করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিখুঁত শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন মেসি।
২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত আর্জেন্টিনা। সৌদির জালে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ভার-এর সাহায্যে তা বাতিল হয়। মেসি অফসাইড হয়ে ছিলেন। ২৮তম মিনিটে আরো একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডে। এবার লাউতেরো মার্টিনেজ। ৩৫তম মিনিটে তৃতীয়বারের মতো অফসাইডের কারণে আর্জেন্টিনার গোল বাতিল হয়। আবারও সেই লাউতেরো মার্টিনেজ অফসাইড হয়ে ছিলেন।
বিরতির পর ৪৮তম মিনিটে আর্জেন্টিনাকে স্তব্ধ করে দেয় সৌদি আরব। ডিফেন্সের মারাত্মক ভুলে আল সেহেরির দারুণ গোলে ম্যাচে আসে সমতা। পাঁচ মিনিট পরই বক্সের বাইরে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে গোল করলেন সালেম আলদাওশারি। সৌদি এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। কিন্তু সৌদির জমাট রক্ষণ কিছুতেই ভেদ করতে পারছিলেন না মেসি-ডি মারিয়ারা। ৯০ মিনিটে মেসির দারুণ শট অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন সৌদি গোলকিপার। বিনিময়ে তাকে হলুদ কার্ড দেখতে হয়।