বাজারে চিনির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে ফলে দিশেহারা ভোক্তারা মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, চিনি উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো ও চিনি সিন্ডিবেট বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে মুল্যবৃদ্ধি করে জনগনের পকেট লুট করছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেছেন।
তারা বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। অনেকে বিদেশ থেকে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন। দেশে কাজ হারিয়ে বা ব্যবসা গুটিয়ে অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমন একটা পরিস্থিতে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে নিত্যপণ্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি। এর মধ্যে চিনির বাজার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আবারো প্রমান করছে সরকার বাজার সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, হঠাৎ অস্থিতিশীল হয়ে উঠা দেশের চিনির বাজার নিযন্ত্রনে ব্যর্থ বাণিজ্য মন্ত্রনালয়। সংকটের কথা বলে চিনির বাজারে সঙ্কট সৃষ্টি করে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে ১৫ থেকে ৩০ টাকা বেশি দামে বিক্রি জনগনের সাথে প্রতারনা করছে চিনি সিন্ডিকেট। চিনির বাজারে সঙ্কট সৃষ্টিকারী সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনে পরিপূর্ণ ব্যর্থ সরকার।
তারা বলেন, কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চিনির মূল্যবৃদ্ধি করেছে এক শ্রেনীর অসাধূ ব্যবসায়ীরা। চিনি নিয়ে অসাধু কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন না করলে আদৌ চিনির বাজার নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না সরকার। কিন্তু, প্রায় সপ্তাহ খানেক ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজার নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।