শিবালয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তোহারা আক্তার ময়না (২৩) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের রাধাকান্তপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে ওই গৃহবধূ এ ঘটনা ঘটায়। নিহত তোহারা ওই এলাকার আল আমীনের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছর আগে একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণদিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে তোহারার সঙ্গে বিয়ে আল-আমীনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পরে তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। গত ১১ মাস আগে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বাবার বাড়ি চলে যায় ওই গৃহবধূ। অবশেষে গত তিন দিন আগে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় স্বামীর বাড়ি আসেন। আজ সকালে গোসল করে নিজ শোবার ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে যায়। অনেক্ক্ষণ ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় নিহতের শাশুড়ি দরজা ভেঙ্গে তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে।
নিহতের বাবা ইউসুফ শেখ বলেন, গত ১১ মাস ধরে আমার মেয়ে তোহারা আমার বাড়িতে আছে। তার স্বামী আল আমিন তাকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় মারধর করত। গত কয়েকদিন আগে আমাদের চেয়ারম্যান আব্বাস আলি বিচার করে দেয়। তার একদিন পরই আমার মেয়েকে এসে আল আমিন নিয়ে যায়। গতকাল রাতেও আমার মেয়ে আমাকে কান্না করে ফোন দেয়। আজ সকালে শুনি আমার মেয়ে ফাঁস নিয়ে মারা গেছে। হাসপাতালে এসে ওর স্বামীর বাড়ির কাউকে পাই নাই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ওই গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।