রবিবার (৫ জুন) আসতে পারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা। বৃহস্পতিবার (২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরীর সঙ্গে দিনভর বৈঠক করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কর্মকর্তারা। এতে আবাসিকে গ্যাসের দাম যতটুকু বাড়ানোর কথা তার চেয়ে কিছুটা কম বাড়িয়ে সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমিশনের এক সদস্য বাংলা ট্রিবিউনকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য আগামী সপ্তাহের শুরুতেই গ্যাসের দাম ঘোষণা করা। সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চাই রবিবারেই কাজ শেষ করতে। তবে কোনও কারণে শেষ না হলে সোমবারে ঘোষণা আসতে পারে।
দাম বৃদ্ধির এত তাড়াহুড়ো কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময়ের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইন অনুযায়ী শুনানির ৯০ দিনের মধ্যে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হয়। আমরা সেই সময়ের খুব কাছাকাছি জায়গায় রয়েছি।
কমিশন সূত্র জানায়, এজন্য আজ সারা দিন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কাজ করেছেন। শুক্রবার ও শনিবারও কাজ চলবে।
ভর্তুকি কত থাকবে
বাজেটে ৬ হাজার কোটি টাকা এলএনজি আমদানির জন্য ভর্তুকি হিসেবে রাখা হয়েছে। এর বাইরে যদি আরও অর্থ প্রয়োজন হয় তাও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মুনাফায় ভাগ বসাবে এলএনজি আমদানির খরচ। এবারই প্রথম বিইআরসি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মুনাফা এলএনজি আমদানিতে ব্যবহারের সুযোগ রেখে নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিলেও বিতরণ কোম্পানিগুলো মুনাফা করছে। এজন্য বিতরণ কোম্পানি মুনাফার একটি অংশ এলএনজি আমদানির জন্য ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
দাম কত বাড়তে পারে
কমিশন সূত্র বলছে, ঠিক কতটা দাম বৃদ্ধি পাবে তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি। সরকারের প্রতিশ্রুত ভর্তুকির সঙ্গে সমন্বয় করে দাম ঠিক করার জন্য আজসহ আগামী দুদিন কমিশন কাজ করবে। তবে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে আবাসিকে গ্যাসের দাম খুবই সামান্য বাড়বে। এছাড়া অন্য খাতগুলোতে সমন্বয় করে দাম বাড়ানো হবে