এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একটি বাস চালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় রামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে রামগঞ্জ থানার ওসি মো. এমদাদুল হক জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া শাহজাহান মিয়া রামগঞ্জ উপজেলার কাজিরখীল এলাকার নুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
মামলার বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার শিকার ওই তরুণী নোয়াখালীর চাটখিল থেকে সোনাপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভুলবশত ‘জননী’ নামের একটি বাসে উঠে পড়েন। পরে তাকে বাস থেকে রামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় ঘটনাটি ওই বাসের চালক ও সহকারীকে জানালে তারা মেয়েটিকে চট্টগ্রামগামী ‘নীলাচল’ নামের বাসে উঠতে বলেন। পরে জননী বাসের হেলপার আজাদ স্থানীয় আরও দুই যুবকসহ এই মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
মামলায় আরও বলা হয়, মেয়েটির চিৎকারে বাসস্ট্যান্ডের নৈশ প্রহরী শাহজাহান মিয়া এগিয়ে যান। পরে তাদের বাধা দিতে গিয়ে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
পরে মেয়েটিকে উদ্ধার ও আজাদকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
ওসি এমদাদুল হক আরও জানান, মেয়েটি বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেছেন। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপর আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।