শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার ধরন

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১

২৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্ট্রেইনটি অধিকসংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করে মারাত্মক অসুস্থ করে ফেলে—এমন অকাট্য প্রমাণ নেই। এ ধরনের ভাইরাস দ্রুত ছড়ায় এবং করোনার টিকা এই স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে না।

আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) অস্তিত্ব বাংলাদেশেও পাওয়া গেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এই অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই স্ট্রেইন পাওয়া গেছে বলে কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্ট্রেইন পাওয়ার খবর করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটার (জিসএআইডি) ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, গত ২৪ জানুয়ারি আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার এই নমুনা সংগ্রহ করে। এরপর জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে দেওয়া হলে গবেষকেরা করোনাভাইরাসের ওই নমুনার পূর্ণাঙ্গ জিন নকশা (হোল জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচন করেন। প্রকাশ না করার শর্তে জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির এক গবেষক আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্ট্রেইন বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। এর কথা আমরা সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানিয়েছি।

আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সরাসরি স্বীকার না করে বলছে, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেইনের অস্তিত্বের বিষয়ে তাদের জানা নেই। জানতে চাইলে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটার কথা আমরা জানি না। তবে জিসএআইডির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে বলে জেনেছি।’

বিসিএসআইআরের বিজ্ঞানীরা আইইডিসিআরকে জানিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নে আইইডিসিআর পরিচালক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এটি জানানো হয়নি।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইনটি জাপান, ফিলিপাইন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ৬১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে চারটি, সিঙ্গাপুরে তিনটি, থাইল্যান্ডে ছয়টি ও চীনে একটি দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার নতুন স্ট্রেইনের অস্তিত্ব মিলেছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের চরিত্র হচ্ছে এটি দ্রুত নিয়মিতভাবে রূপান্তর হয়। বিশ্বে করোনাভাইরাসের হাজারো মিউটেন্ট আছে। তবে গবেষকেরা দক্ষিণ আফ্রিকার এই নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ‘৫০১.ভি২’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির গত ২৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্ট্রেইনটি অধিকসংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করে মারাত্মক অসুস্থ করে ফেলে—এমন অকাট্য প্রমাণ নেই। তবে এ ধরনের ভাইরাস দ্রুত ছড়ায় এবং করোনার টিকা এই স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে না। দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন স্ট্রেইনের স্পাইক প্রোটিনে কিছু পরিবর্তন থাকে। এ কারণে এটি খুব সহজে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।

দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্ট্রেইন বাংলাদেশে পাওয়া গেছে। এর কথা আমরা সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানিয়েছি।

এইচ বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এ আপনাকে স্বাগতম। “সময়ের প্রয়োজনে- HBD NEWS24” নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে। আপনার পাশে ঘটে যাওয়া নানা সংগতি, অসংগতি আর তথ্য নিয়ে আপনিও যোগ দিন HBD NEWS 24 এ আমাদের কাছে মেইল করুন: hbdnews24@yahoo.com

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012 HBDNEWS24

POWERED BY MH GROUP OF COMPANY.