শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ অপরাহ্ন

হোসনি দালানে বোমা হামলা: দু’জনের কারাদণ্ড, খালাস ৬

Taj Afridi
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২

জামিনে থাকা পাঁচ আসামি ওমর ফারুক মানিক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, আবু সাঈদ রাসেল ওরফে সোলায়মান ওরফে সালমান ওরফে সায়মনও উপস্থিত আছেন আদালতে।

আলোচিত এ মামলার রায় শুনতে আদালতে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্টেট কোর্টের সাত সদস্য। আদালত ভবনের প্রবেশপথে ও বারান্দায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় হোসাইনী দালানে বোমা হামলা হয়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হন।

এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় এসআই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি চকবাজার থানা পুলিশ তদন্ত করে।  পরে এর তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।

অভিযোগপত্রে নাম থাকা আসামিরা হলেন- ওমর ফারুক মানিক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, কবির হোসাইন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিক, রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব, আবু সাঈদ রাসেল ওরফে সোলায়মান ওরফে সালমান ওরফে সায়মন, আরমান ওরফে মনির, মাসুদ রানা, জাহিদ হাসান।

এদের মধ্যে জাহিদ হাসান এবং মাসুদ রানাকে তাদের আইজীবীরা ‘নাবালক’ দাবি করায় জন্মসনদ পরীক্ষা করে এই দুজনকে শিশু হিসেবে আখ্যায়িত করে আদালত।

পরবর্তীতে তাদের শিশু উল্লেখ করে এ মামলায় আলাদা দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিচার চলছে শিশু আদালতে।

অভিযোগপত্রে এই দুজনের নাম বাদ পড়ায় বাকি ৮ আসামির বিষয়ে রায় দেয় আদালত। ২০১৭ সালের ৩১ মে এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ আসে।

পরে মামলাটি ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৮ সালের ১৪ মে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয় এ মামলা।

আসামিদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলাটিতে ৪৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

মামলার নথি অনুযায়ী, হোসাইনী দালানে হামলায় জেএমবির ১৩ জঙ্গি জড়িত ছিল। এদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানের সময় তিনজন কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান।

অভিযোগে বলা হয়, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত আবদুল্লাহ বাকি ওরফে নোমান ছিলেন হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। হামলার আগে ১০ অক্টোবর তারা বৈঠক করে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন।

বোমা হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন জাহিদ হাসান, আরমান ও কবির হোসেন। কবির ও জাহিদ ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

হামলার পর আশ্রয় নিতে কামরাঙ্গীর চরে বাসা ভাড়া করেন আরমান ও রুবেল ইসলাম। আরমান ঘটনাস্থলে পর পর পাঁচটি বোমা নিক্ষেপ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

বাকি পাঁচজন- চানমিয়া, ওমর ফারুক, আহসান উল্লাহ, শাহজালাল ও আবুসাঈদ হামলার চিত্র ভিডিও করা ছাড়াও হামলায় উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

আসামি মাসুদ রানারও হামলায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে আগের দিন গাবতলীতে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালিয়ে পুলিশের একজন এএসআইকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হন মাসুদ রানা।

এইচ বিডি নিউজ টুয়েন্টি ফোর এ আপনাকে স্বাগতম। “সময়ের প্রয়োজনে- HBD NEWS24” নিয়ে আমরা আছি আপনার পাশে। আপনার পাশে ঘটে যাওয়া নানা সংগতি, অসংগতি আর তথ্য নিয়ে আপনিও যোগ দিন HBD NEWS 24 এ আমাদের কাছে মেইল করুন: hbdnews24@yahoo.com

More News Of This Category

© All rights reserved © 2012 HBDNEWS24

POWERED BY MH GROUP OF COMPANY.