পার্লামেন্টে উচ্চকক্ষ সিনেটের চেয়ারম্যান নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে গোপন ক্যামেরা বসানোর অভিযোগ উঠেছে। সেখানে ‘চীনা স্পাই ক্যামেরা’র উপস্থিতি টের পাওয়ার পর গত শুক্রবার কিছু সময় ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো গোপন ক্যামেরা বসানোর এই ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করছে। তবে, ভোট দেওয়ার বুথে ক্যামেরা সাহায্যে রেকর্ডিং কে করছিল, তা এখনো জানা যায়নি।
যদিও সিনেটের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে ভোট দেওয়ার বুথে স্পাই ক্যামেরা লাগানোর ঘটনায় বিরোধীদের দোষ দিয়েছেন ফেডারেল তথ্যমন্ত্রী শিবলি ফারাজ।
জানা গেছে, সিনেটের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছিল গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে। তা নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই পার্লামেন্ট অধিবেশন বেশ গরম ছিল। সেখানে জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিচ্ছিলেন গোপন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে।
এরই মধ্যে সিনেট হল থেকে পাওয়া যায় গোপন ক্যামেরা। আর তা নিয়ে হট্টগোল বেধে যায়। কিছু সময়ের জন্য ভোট প্রক্রিয়াও বন্ধ থাকে। উদ্ধার হওয়া ক্যামেরাগুলো চীনে তৈরি।
সিনেটর রাজা রাব্বানি বলেন, সেখানে গোপন ক্যামেরা স্থাপন করাটা আইনবিরোধী কাজ।
ওইদিন ভোটের ফলে অবশ্য সরকার-সমর্থিত প্রার্থী সাদিক সাঞ্জরানি সিনেটের চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। ওই নির্বাচনকে ইমরান খানের নেতৃত্বের পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সিনেট সদস্য মুস্তফা নাওয়াজ খোকা এক টুইটে ছবিসহ পোস্ট করে লেখেন, পাকিস্তান মুসলিম লীগের-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সিনেট সদস্য মুসাদিক মালিক এবং তিনি মিলে সিনেটের ভোটকেন্দ্রে গোপন ক্যামেরা খুঁজে পেয়েছেন।
ডন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পাই ক্যামেরা উদ্ধারের পর ভোটের ওই বুথ সরিয়ে ফেলা হয়। পরে নতুন আরেকটি বুথ সেখানে স্থাপন করে ভোট সম্পন্ন করা হয়।