রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে আজিজুল হক রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, বোমা হামলার পর আজিজুল হক রানা পালিয়ে ঢাকায় আসে। তারপর থেকে সে ২১ বছর বিভিন্ন পরিচয় আত্মগোপন করে ঢাকায় বসবাস করেছে। কখনো দর্জি, মুদি দোকানি, ছাপাখানা, রাবার স্ট্যাম্প সিলের কাজ করতো রানা। এসবের আড়ালে সে হরকাতুল জিহাদে সক্রিয় ছিলো বলেও জানান সিটিটিসি প্রধান।
চট্টগ্রামের লালখান মাদ্রাসা থেকে বোমা তৈরি, ও আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নেয় রানা। তাকে গ্রেপ্তারের সময় সংগঠনের বেশ কিছু বই ও সাংগঠনিক কাগজপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আয়োজিত সমাবেশে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি আজিজুল হক রানা। ওই মামলায় রানাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। তবে, বোমা হামলার পর থেকে দীর্ঘ ২১ বছর পলাতক ছিল রানা। এছাড়া আজিজুল হক রানা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজির নেতা মুফতি হান্নানের ঘনিষ্ট সহযোগী বলেও জানিয়েছেন সিটিটিসি কর্মকর্তারা।