মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে আনা হয় তাকে। এরপর দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাসেল শাহরিয়ার ফাস ফাইনান্সে এমডি থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের একক সইয়ে প্রায় ৪৭৯ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব বোর্ডে উপস্থাপন করেন। ঋণ অনুমোদন করে তিনি এসব অর্থ পি কে হালদারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানিতে হস্তান্তর করেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফাস ফাইন্যান্স থেকে ১৩শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে ১৩টি মামলা করেছেন দুদক উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। পিকে হালদারের কাগুজে প্রতিষ্ঠান এন্ডবি ট্রেডিং, ন্যাচার এন্টার প্রাইজ, নিউট্রিক্যাল, হাল ইন্টারন্যাশনালসহ ১৩টি ভুয়া প্রতিষ্ঠান ফাস ফাইন্যান্সের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই অর্থ ঋণের নামে আত্মসাত করে।
দুর্নীতির মামলায় গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফাস ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান, এমডিসহ ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে দুদক।