গণটিকা কার্যক্রমের প্রথমদিন শনিবার একটি মোবাইলসহ মোট ৩৬৬টি টিম সমপরিমাণ কেন্দ্রে মোট দুই লাখ ৬১ হাজার ১৪০জনকে টিকা দিয়েছে। রাত পৌনে ৯টায় সিভিল সার্জন ডা. শফিউল আজম এ তথ্য দিয়েছেন।
বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারজানুল ইসলাম নির্ঝর ও অন্য সূত্র জানায়, জেলায় বর্তমানে ১৮ বছর বয়সের নিচে টিকা কার্যক্রম চলছে। শনিবার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে জনগণের গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। ১২ উপজেলা ও তিন পৌরসভা এবং ১২ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থায়ী কেন্দ্রে ৩৬৬টি টিম টিকাদান কার্যক্রমে অংশ নেয়। জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই জনগণ টিকা পেয়েছেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে শহরের চারমাথা এলাকায় গণ টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। এ ছাড়া জেলার সব ইউনিয়ন, পৌরসভার পাশাপাশি শহরের চারমাথা, চাষীবাজার, ঠনঠনিয়া, শহীদ টিটু মিলনায়তন চত্বর, দত্তবাড়ী, হাড্ডিপট্টি, মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে টিকাদান করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. শফিউল আজম জানান, সরকারিভাবে বগুড়া জেলায় এক লাখ ১০ হাজার মানুষকে গণটিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিল। তবে তারা (স্বাস্থ্য বিভাগ) তিন লাখ টার্গেট নিয়ে মাঠে নামেন। শনিবার একটি মোবাইল টিমসহ ৩৬৬ টিমের মাধ্যমে ৩৬৬ কেন্দ্রে টিকাদান করা হয়। প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৩৭৭ জনকে, দ্বিতীয় ডোজ ২৩ হাজার ২৪৩ জনকে এবং তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) এক হাজার ৫২০ জনকে। সবমিলিয়ে টিকা দেওয়া হয়েছে, দুই লাখ ৬১ হাজার ১৪০ জনকে।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুসারে এ কার্যক্রম আরও দু’দিন চলবে।
সূত্রটি আরও জানায়, বগুড়া গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। জেলায় ২৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার পর্যন্ত প্রথম ডোজ ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৮২৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ ১৯ লাখ ৭০ হাজার ১৪৪ জন এবং তৃতীয় (বুস্টার ডোজ) পেয়েছেন, ৬৩ হাজার ১১২ জন।