বিধিনিষেধ চলাকালেও মাস্ক পরিধানে কিছু মানুষের যেমন অনিহা ছিলো, এখনও রয়েছে নানা অজুহাত। অফিসগুলো ফের আগের নিয়মে চলায় রাস্তায় বেড়েছে ব্যক্তিগত যানচলাচল। গণপরিবহণে ছিল যাত্রীচাপ। এতে করে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয়নি। এদিকে, বিধিনিষেধ না থাকায় সভা সমাবেশে তৎপর রাজনৈতিক দলগুলো।
গত কয়েকদিন ধরেই করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমতে থাকায় উঠিয়ে নেয়া হয়েছে সরকারের ১১ দফা বিধিনিষেধ। স্বাভাবিক নিয়মে অফিস খুলে দেয়ায় সকাল থেকেই রাস্তায় ছিলো কর্মজীবী মানুষের ভিড়। রাস্তায় ছিলো ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ। অনেকেই গণপরিবহণের জন্য অপেক্ষা করেন রাস্তায়। যাত্রীচাপ থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হয়নি গণপরিবহণে। সাধারণ মানুষ বলছে, বর্তমানে করোনা নিয়ে আতঙ্কিত নয় তারা। তাদের কাছে, বিধিনিষেধের সময়েও সবকিছু চলেছে স্বাভাবিক নিয়মে।
এদিকে, সরকারি বিধিনিষেধের সময়ও মাস্ক পরিধানে নানা অজুহাত ছিলো মানুষের। এখনও তার ব্যতিক্রম নয়। বেশিরভাগ স্থানেই মাস্ক ছাড়া চলাচল করছে মানুষ। অফিসের কার্যক্রম আগের নিয়মে চলায় ফিরেছে কর্মতৎপরতা। তবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস চালানোর কথা বলছে সবাই।
অন্যদিকে, বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোও তৎপর সভা-সমাবেশে। তারা বলছে, সরকার নিজের সুবিধামত সময়ে বিধিনিষেধ আরোপ করছে।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১৩ই জানুয়ারি ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে তা তদারকি সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় নিজ থেকেই সচেতন হওয়ার পরামর্শ সচেতন মানুষের।