তামিম ইকবাল জানালেন, ওই হামলা ছাড়া নিউজিল্যান্ড সবসময় তার জন্য দারুণ জায়গা।
আগামী ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার দুই বছর পূর্ণ হবে। এই ক্রাইস্টচার্চেই এবার ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিল বাংলাদেশ দল। বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সেখান ছেড়ে কুইন্সটাউনে চলে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ওখানে পাঁচ দিনের ক্যাম্প করে ডানেডিনে ২২ গজের লড়াইয়ে নামবেন তামিমরা।
দুই বছর আগে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার কারণে নিউজিল্যান্ডে সিরিজ শেষ না করেই দেশে ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ দল। দুঃসহ সেই স্মৃতি ভুলতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের লেগেছে দীর্ঘ সময়। ঘটনাটি আবার সামনে এসেছে নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমে তামিমের কথা বলার সময়। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, ‘দেখুন, আমাদের জীবনের খুব স্পর্শকাতর অংশ এটি। কাটিয়ে উঠতে লম্বা সময় লেগেছে। যেটা বলেছি, যারা আপনজন হারিয়েছেন, সেই পরিবারগুলোকে শ্রদ্ধা করতে হবে আমাদের। প্রার্থনা করতে হবে যেন তারা সহ্য করতে পারেন। এই তো, আর খুব বেশি গভীরে যেতে চাই না ব্যাপারটির। কারণ এই অনুভূতি খুব ভালো নয়।’
তবে ভয়াল ১৫ মার্চের দিনটি বাদ দিলে নিউজিল্যান্ডে বাকি সময়টা শুধু ভালো লাগা তামিমের। সেই অনুভূতি এই ওপেনার ভাগাভাগি করেছেন এভাবে, ‘আমি এ নিয়ে চতুর্থ বা পঞ্চমবার এলাম নিউজিল্যান্ডে। সবসময়ই এই দেশে আসতে মুখিয়ে থাকি আমরা। খুবই সুন্দর একটি দেশ। এখানকার মানুষেরা ভালো। এখানে বারবার আসার মতো যথেষ্ট ভালো কিছু নিউজিল্যান্ড আমাদের উপহার দিয়েছে এবং আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতেও আসতে কোনও দ্বিধা থাকবে না আমাদের। ওই একটি ঘটনা ছাড়া নিউজিল্যান্ড সবসময়ই দারুণ ছিল।’
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ জুমার নামাজ চলাকালীন ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ ও লিনউড ইসলামিক সেন্টারে এক সন্ত্রাসীর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। যা নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী হামলা। ওই হামলায় ৫০ জন নিহত হন ও আরও ৫০ জনের মতো গুরুতরভাবে আহত হন। ক্রাইস্টচার্চের ওই মসজিদেই জুমার নামাজ আদায় করার কথা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।